১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী তার সৎ মাকে ‘মা’ বলে ডাকতে শুরু করেছে। আর এতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই নারীর সৎ মা।
বিষয়টি নিয়ে তিনি পরামর্শ চেয়েছেন একটি অনলাইন ফোরামে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনলাইন কমিউনিটি সাইট ‘মামসনেট’-এ নিজের এই উদ্বেগের কথা জানান তিনি। ওই নারী জানান, তার ১৪ বছর বয়সী সৎ মেয়েটি তাকে গত ১২ বছর ধরে চেনে এবং এতদিন পর্যন্ত সে তাকে তার নাম ধরেই ডাকত।
কিন্তু কয়েকদিন ধরে মেয়েটি তাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করতে শুরু করেছে।
ওই নারী তার পোস্টে লিখেছেন, “আমি তাকে বহুবার বুঝিয়েছি এবং তার বাবাও বুঝিয়েছি। আমি বুঝিয়েছি যে আমি তো তার মা নই, তার মা আছে।
যদি তার মা এটা জানতে পারে, তাহলে আমাদের উভয়কেই অনেক কথা শুনতে হবে।”
এরপর তিনি জানতে চান, “আগের মতো সম্পর্ক ফিরিয়ে আনার জন্য কারো কাছে কোনো পরামর্শ আছে কি?”
ওই পোস্টে তিনি আরও জানান, তার মেয়ের সঙ্গে আসল মায়ের সম্পর্ক “ইদানীং বেশ খারাপ যাচ্ছে”।
সাধারণত কিশোরী মেয়ে ও মায়ের মধ্যে যে ধরনের সমস্যা দেখা যায়, তেমনটাই হচ্ছে তাদের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটি যে তাকে মা ডাকে, এটা তার ভালো লাগে। কিন্তু তিনি এও জানেন, এতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, “আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, এর কারণে আমাদের কতটা কষ্ট পেতে হবে।
আমি আমার মেয়ের জন্য এমনটা চাই না।”
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, এতে তেমন কিছু করার নেই। ১৪ বছর বয়সে সে জানে, সে কাকে কী বলছে।
সে তার আসল মা কে, তাও জানে। এটা আসলে আপনার প্রতি তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
আবার কেউ কেউ বলছেন, এই পরিস্থিতিকে উপভোগ করা উচিত।
কারণ, এই মেয়েটি আপনার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক অনুভব করতে চায়। মা ও মেয়ের মধ্যে যে সম্পর্ক, সেখানে সে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে চায়।
অন্য একজন পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়টিকে একটি সমস্যা হিসেবে না দেখে বরং সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা খুব একটা নতুন নয়।
বর্তমানে অনেক পরিবারেই মা-বাবার বিচ্ছেদের পর ছেলেমেয়েরা সৎ মা অথবা বাবার সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করে।
সেক্ষেত্রে সৎ মা ও সন্তানের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, পরিবারের শান্তি ও সন্তানের মানসিক বিকাশে এর প্রভাব অনেক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এক্ষেত্রে সৎ মা-কে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
সন্তানের প্রতি ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ এবং তার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার মাধ্যমে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: পিপল
