ঐতিহ্যপূর্ণ একটি গয়না নিয়ে সৎ মেয়ের আবদার, পরিবারে মনোমালিন্য।
বাংলাদেশের সমাজে পারিবারিক ঐতিহ্য আর ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে অনেক কিছুই মূল্যবান। দাদা-দাদীর আমলের গয়না, জমি-জমা, কিংবা অন্য কোনো স্মৃতিচিহ্ন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আগলে রাখা হয়।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি পারিবারিক গয়না নিয়ে সৎ মা ও মেয়ের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মনোমালিন্য।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন এক নারী তাঁর ঠাকুরমার কাছ থেকে পাওয়া একটি বিশেষ ব্রেসলেট নিয়ে আসেন।
বিয়ের সময় তিনি সেটি পরেছিলেন এবং সবসময় সেটি নিজের কাছেই সযতনে রেখেছিলেন।
তাঁর ১৬ বছর বয়সী সৎ মেয়ে, কয়েক বছর আগে মায়ের গয়নার বাক্স থেকে ব্রেসলেটটি দেখে এর সৌন্দর্য্যের প্রশংসা করে।
মেয়েটি জানায়, তার খুব ইচ্ছে এই ব্রেসলেটটি তার হোক।
মায়ের কথায়, তিনি তখন হেসে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন, “দেখা যাবে”।
কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই মেয়েটি আবার বায়না ধরে বসে, এবার তার দাবি, ব্রেসলেটটি “আসলে তার”।
মা জানান, তিনি কখনোই মেয়েকে এটি দেবেন বলিনি, কারণ এটির সঙ্গে তাঁর অনেক আবেগ জড়িত।
এই কথায় মেয়েটি খুব রেগে যায় এবং জানায়, সৎ মা হিসেবে তাঁর তো এই গয়নাটি মেয়েকে দেওয়া উচিত।
এমনকি, সে তার বাবাকে, অর্থাৎ মায়ের স্বামীকে বিষয়টি জানায় এবং অভিযোগ করে যে, তাকে পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না।
ছেলের পক্ষ নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মা জানান, তাঁর স্বামীও এখন মেয়ের পক্ষ নিয়েছেন।
তাঁর মতে, মেয়েকে ব্রেসলেটটি দিলে মায়ের কোনো ক্ষতি হবে না, বরং মেয়েটি খুব খুশি হবে।
মা যখন তাঁর আবেগের কথা বলেন, তখন তাঁরা দুজনেই যেন তাঁর উপর বিরক্ত হন।
এই ঘটনায় মা একা হয়ে পড়েছেন।
একদিকে স্বামীর নীরব সমর্থন, অন্যদিকে মেয়ের জেদ—সব মিলিয়ে তিনি মানসিক চাপে রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তাঁদের মতে, পারিবারিক স্মৃতিচিহ্নগুলো সবার আগে নিজের কাছে রাখা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধাবোধ খুবই জরুরি।
বিশেষ করে যখন পারিবারিক ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকারের মতো বিষয় জড়িত থাকে, তখন আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: পিপলস