প্রাচীন গ্রিক সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত স্টিফেন সন্ডহাইমের সঙ্গীতনির্ভর নাটক ‘দ্য ফ্রগস’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
লন্ডনের সাউথওয়ার্ক প্লেহাউসে সম্প্রতি এর মঞ্চায়ন হয়েছে, যা দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে, সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নাটকের মূল কাহিনী গড়ে উঠেছে ডিওনিসাস নামের এক দেবতার গল্পকে কেন্দ্র করে।
ডিওনিসাস তার সঙ্গী, যিনি আসলে তার ‘ইন্টার্ন’, কস্যানথিয়াসের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডে যান। তাদের উদ্দেশ্য, মৃত কবিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ একজনকে খুঁজে বের করা, যিনি সমাজের জন্য উপযুক্ত হবেন।
ডিওনিসাস প্রথমে জর্জ বার্নার্ড শ’কে বেছে নিতে চান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেক্সপিয়ারের প্রতি আকৃষ্ট হন।
এই নাটকে প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের হাস্যরস এবং সঙ্গীতের এক দারুণ মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে।
তবে, কিছু সমালোচকের মতে, গল্পের বিন্যাস এবং নাটকের গতি কিছুটা দুর্বল।
মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ড্যান বাকলি এবং কেভিন ম্যাকহেল। তাদের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
এছাড়াও, ভিক্টোরিয়া স্কোন নামের একজন শিল্পীও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
নাটকের শুরুতে একটি বিশেষ দৃশ্যে দর্শকদের প্রতি কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়, যা বেশ কৌতুকপূর্ণ।
কোরিওগ্রাফার ম্যাট নিকলসনের নাচের পরিকল্পনাও প্রশংসিত হয়েছে।
তবে, জর্জ র্যাঙ্ককমের পরিচালনা এবং গল্পের কিছু দুর্বলতা নাটকটিকে পরিপূর্ণতা দিতে বাধা দিয়েছে।
সন্ডহাইমের সঙ্গীত নিঃসন্দেহে এই নাটকের প্রধান আকর্ষণ।
গানের সুর এবং কথার মাধুর্য দর্শকদের মন জয় করে। তবে, গল্পের দুর্বলতা এবং কিছু দৃশ্যের অসামঞ্জস্যতা সামগ্রিকভাবে নাটকটির আবেদন কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।
সব মিলিয়ে, ‘দ্য ফ্রগস’ একটি আকর্ষণীয় প্রযোজনা, যা ক্লাসিক সাহিত্য এবং সঙ্গীতের এক চমৎকার মিশ্রণ।
তবে, এর কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যারা ক্লাসিক্যাল সাহিত্য এবং সঙ্গীতের অনুরাগী, তাদের জন্য এই নাটকটি উপভোগ্য হতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান