বিখ্যাত কমেডিয়ান এবং অভিনেতা স্টিভ মার্টিনকে হয়তো অনেকেই চেনেন, বিশেষ করে যারা নব্বইয়ের দশকে ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে তাকে দেখেছেন। আবার কেউ কেউ তাকে সম্প্রতি ‘অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং’ ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের জন্য চেনেন।
তবে, বহু প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটির লেখক হিসেবেও যে দারুণ খ্যাতি রয়েছে, তা অনেকেরই অজানা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার লেখার সংকলন ‘স্টিভ মার্টিন রাইটস দ্য রিটেন ওয়ার্ড’।
এই বইটিতে স্টিভ মার্টিনের বিভিন্ন ধরনের লেখার সম্ভার রয়েছে, যা পাঠকদের কাছে লেখকের বহুমাত্রিক প্রতিভার পরিচয় তুলে ধরে।
বইটিতে একদিকে যেমন রয়েছে তার লেখা ছোট গল্প, তেমনই রয়েছে ‘শপগার্ল’ (Shopgirl)-এর মতো উপন্যাস। ‘শপগার্ল’–এ লেখক জীবনের একাকিত্ব এবং হৃদয় ভাঙার মতো বিষয়গুলো হাস্যরসের মোড়কে তুলে ধরেছেন, যা পাঠককে ভিন্ন স্বাদ দেবে।
বইটিতে ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’-এর ‘শাউটস অ্যান্ড মারমার্স’ কলামের জন্য লেখা তার কিছু উল্লেখযোগ্য রচনাও সংকলিত হয়েছে। এই অংশে মার্টিনের লেখার জগৎ এবং শব্দের প্রতি ভালোবাসার পরিচয় পাওয়া যায়।
মজার ছলে তিনি এখানে এমন সব কাল্পনিক বইয়ের তালিকা তৈরি করেছেন যা পাঠককে হাসতে বাধ্য করবে।
যেমন, তিনি লিখেছেন, “ওমেলেট: ওলগা – ওয়েট্রেসের নাম মনে রাখার কৌশল” এবং “মারিজুয়ানা! সম্পূর্ণরূপে নিরীহ (লেখকের নাম মনে নেই)”-এর মতো হাস্যকর শিরোনাম।
তবে, বইটির কিছু অংশ, যেমন ‘দ্য ওয়াই থ্রিকে (Y3K) বাগ’ (The Y3K Bug), বর্তমান প্রজন্মের পাঠকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নাও হতে পারে।
কারণ, এটি ২০০০ সালের শুরুর দিকের ‘ওয়াই টু কে’ (Y2K) আতঙ্ক নিয়ে লেখা। সেই সময়ে কম্পিউটার সিস্টেমের ত্রুটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই প্রেক্ষাপটে লেখা এই রচনাটি আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়তো পুরনো দিনের গল্প মনে হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ‘স্টিভ মার্টিন রাইটস দ্য রিটেন ওয়ার্ড’ বইটিতে লেখকের লেখার প্রতি গভীরতা এবং তাঁর হাস্যরসের অনন্য ক্ষমতা প্রকাশিত হয়েছে।
এই বইটি স্টিভ মার্টিনের একজন লেখক হিসাবে পরিচিতি আরও বাড়িয়ে তুলবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস