অবাক করা! ‘স্টিচপসিবল’-এর সাফল্যে গ্রীষ্মে সিনেমা হল মাতোয়ারা!

হলিউডের সিনেমা ব্যবসার জন্য গ্রীষ্মকালটা শুরু হয়েছে দারুণ, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া দুটি ছবি – ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘মিশন: ইম্পসিবল’ এর সাফল্যের হাত ধরে।

মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে সিনেমা ব্যবসার বক্স অফিসে এসেছে নতুন রেকর্ড।

প্রতি বছর মে মাসের শেষ সোমবারে আমেরিকাতে মেমোরিয়াল ডে পালন করা হয়, যা গ্রীষ্মের ছুটির শুরু হিসেবেও ধরা হয়।

এই সময়ে সাধারণত সিনেমা হলগুলোতে দর্শক সমাগম বাড়ে, আর এর ফলস্বরূপ ব্যবসার চিত্রটাও থাকে উজ্জ্বল।

এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’ ছবি দুটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।

এর ফলে, মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে সিনেমা ব্যবসার আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার সমান।

‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ ছবিটি মুক্তির প্রথম তিন দিনে আমেরিকাতে আয় করেছে ১৪৫.৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার বেশি।

ধারণা করা হচ্ছে, সোমবারের হিসাব শেষে এই আয় আরও ৩৭.৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে।

এই সাফল্যের কারণে অনেকেই মনে করছেন, এবারের মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ছবির তালিকায় সবার উপরে থাকবে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’।

এমনকি, এটি ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ ছবির আয়ের রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারে।

অন্যদিকে, টম ক্রুজ অভিনীত ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের নতুন ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’ মুক্তির প্রথম তিন দিনে আমেরিকাতে ৬৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

এই ছবিটিরও ব্যবসার পূর্বাভাস ছিল বেশ ভালো।

এই ছবিটি শুধু এই সিরিজের ছবিগুলোর মধ্যে সেরা ওপেনিং-ই নয়, ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মিশন: ইম্পসিবল – ফলআউট’ এর আয়কেও ছাড়িয়ে গেছে।

সিনেমা ব্যবসার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, সিনেমা হলগুলোতে দর্শকদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সিনেমা ব্যবসার জন্য একটি দারুণ খবর।

গত বছর এই সময়ে সিনেমা ব্যবসার চিত্রটা খুব একটা ভালো ছিল না।

তবে এবার ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘মিশন: ইম্পসিবল’ এর মতো ছবিগুলোর হাত ধরে সেই খারাপ পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই গ্রীষ্মে সিনেমা ব্যবসার মোট আয় ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

যদি তাই হয়, তবে এটি সিনেমা ব্যবসার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বছর হবে।

আগে যেমন ‘বার্বেনহাইমার’-এর মতো দুটি বড় সিনেমা একই সময়ে মুক্তি পেলে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল, তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সবসময় নাও হতে পারে।

তবে দুটি বড় সিনেমার মুক্তি দর্শকদের সিনেমা হলমুখী করে, যা ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিনেমা হলের পরিবেশকে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সাফল্যের ফলে দর্শকদের সিনেমা দেখার আগ্রহ আরও বাড়বে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *