ফেটে যাওয়া বাটা জুতা: স্টকএক্সের বিরুদ্ধে এক ক্রেতার অভিযোগ!

অনলাইন বাজারে কেনাকাটা: পুরাতন জুতো কিনে ক্ষতিগ্রস্ত, ক্রেতার অভিজ্ঞতা

বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার প্রসার অনেক বেড়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কেনা-বেচা করা যায়। সীমিত সংস্করণের (limited edition) জুতো কেনাবেচার জন্য সুপরিচিত একটি প্ল্যাটফর্ম হলো স্টকএক্স (StockX)।

সম্প্রতি, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে বাথিং এপের (Bathing Ape) তৈরি করা ৩ লক্ষ টাকার (আনুমানিক) “সাপের চামড়ার” ডিজাইন করা একটি জুতো কিনেছিলেন এক ক্রেতা।

কেনার কয়েক সপ্তাহ পরেই তিনি দেখতে পান যে, জুতোটির চামড়া উঠতে শুরু করেছে।

সমস্যাটি নিয়ে তিনি যখন স্টকএক্সের সাথে যোগাযোগ করেন, তখন তিনি একটি অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পান।

স্টকএক্স জানায় যে, যেহেতু জুতোটি ২০২০ সালে তৈরি হয়েছে, তাই এটির ওপর কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়।

তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, পাঁচ বছরের পুরনো জুতোতে “কাঠামো এবং উপাদানের ক্ষতি” হতে পারে।

এছাড়াও, তারা জানায় যে, জুতোটি এখন “ব্যবহার করা হয়েছে”।

তাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা মাত্র ৪০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩,০০০ টাকার (তৎকালীন বিনিময় হার অনুযায়ী) ভাউচার অথবা ৩০ মার্কিন ডলার (প্রায় ২,৫০০ টাকা) নগদ দিতে রাজি হয়।

ভোক্তা অধিকার রক্ষা আইন অনুযায়ী, কোনো পণ্য কেনার পর যদি তা ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হয়, তবে ক্রেতার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

এক্ষেত্রে, জুতোটির দাম এবং ওয়েবসাইটে দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, একজন স্বাভাবিক ক্রেতা নিশ্চয়ই আশা করবেন যে, এই জুতো আরও বেশি দিন ব্যবহার করা যাবে।

কিন্তু স্টকএক্স-এর এই সিদ্ধান্তে ক্রেতা হতাশ হন।

এই ঘটনার পর, ক্রেতা তার অধিকার আদায়ের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

অবশেষে, স্টকএক্স বিষয়টি বিবেচনা করে, সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে রাজি হয়।

এই ঘটনার মাধ্যমে অনলাইন বাজারের ঝুঁকিগুলো আরও একবার সামনে আসে।

বিশেষ করে, পুরনো জিনিস কেনার সময় পণ্যের গুণমান যাচাই করা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া খুবই জরুরি।

এছাড়াও, অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সচেতন থাকতে হবে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে।

বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের ক্ষেত্রে ক্রেতারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী।

তাই, অনলাইন থেকে কিছু কেনার আগে, পণ্যের বিবরণ ভালোভাবে দেখে, বিক্রেতার নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে, এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *