গরমের ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করার কথা ভাবছেন এক গৃহবধূ। কারণ একটাই— স্বামীর নাক ডাকার সমস্যা। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে তিনি এতটাই ক্লান্ত যে, ছুটি কাটানোর বদলে এখন যেন সেই চিন্তাতেই অস্থির হয়ে উঠেছেন।
বিষয়টি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরাম, যেখানে মায়েদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেখানে তুলে ধরা হয়। ওই নারীর ভাষ্যমতে, তিনি, তার স্বামী এবং সন্তানরা সম্প্রতি একটি ভ্রমণে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভ্রমণের পরে বিশ্রাম আর ভালো ঘুমের বদলে তিনি যেন আরও বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
যদিও তারা আলাদা থাকার ব্যবস্থা হিসেবে একটি তিন কক্ষের বাসস্থান ভাড়া করেছিলেন, তবুও স্বামীর নাক ডাকার শব্দ থেকে তিনি মুক্তি পাননি। ওই নারী জানান, নাক ডাকার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় তিনি রীতিমতো উদ্বিগ্ন।
এখন তিনি আবার গ্রীষ্মের ছুটিতে এক সপ্তাহের জন্য বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতেই ভয় পাচ্ছেন। তার মনে হচ্ছে, সেখানকার ঘরগুলোর দেয়াল যদি পাতলা হয়, অথবা বাচ্চাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে তো বিপদ! তাছাড়া, অতিরিক্ত কক্ষ ভাড়া করার বাড়তি খরচও রয়েছে।
বাড়িতেও একই অবস্থা। স্বামীর নাক ডাকার কারণে এখন তিনি আলাদা ঘরে, ভাঁজ করা বিছানায় ঘুমান। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিনি জানতে চেয়েছেন, গ্রীষ্মের ছুটিতে যাওয়া উচিত, নাকি এই যাত্রা বাতিল করা উচিত।
ফোরামের অন্যান্য সদস্যরাও ওই নারীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে মনে করেন, ঘুমের সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কারও কারও মতে, নাক ডাকার সমস্যা কমাতে চিকিৎসা সহায়ক হতে পারে। কেউ ঘুমের সময় মুখ রক্ষার জন্য বিশেষ গার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, যা চোয়ালের অবস্থান ঠিক রেখে নাক ডাকা কমাতে সাহায্য করে।
অনেকে আবার পরামর্শ দিয়েছেন, হয় স্বামীকে চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করুন, না হয় ছুটি বাতিল করে সেই টাকা দিয়ে ভালো একটি বিছানা কিনে নিন, যাতে ঘুমের সমস্যা কিছুটা হলেও কমানো যায়। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম একজন মানুষের জন্য খুবই জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাক ডাকার সমস্যা শুধু একজন ব্যক্তির একার নয়, বরং এটি একটি পারিবারিক সমস্যাও বটে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক সুস্থতা এবং সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশেও অনেক পরিবারে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তাই, নাক ডাকার সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে, সেই সঙ্গে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
সবশেষে, পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আলোচনা খুবই জরুরি। কোনো সমস্যা হলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। ঘুমের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে পরিবারের সবাই সুস্থ এবং সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপলস