আতঙ্কে সুদানের মানুষ! সেনাবাহিনীর হাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, খবর প্রকাশ!

সুদানের রাজধানী খার্তুমে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে শহরটিতে সামরিক বাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল।

শনিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর কাছ থেকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় পুনরুদ্ধার করেছে।

সামরিক মুখপাত্র নাবিল আবদুল্লাহ এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানান, সেনারা ‘কেন্দ্রীয় খার্তুমের কিছু অংশে পালানোর চেষ্টা করা কয়েকশ মিলিশিয়া সদস্যকে’ নির্মূল করেছে।

এর আগে শুক্রবার সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বিজয় অর্জন করে, যেখানে তারা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল করে।

তবে সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আরএসএফ ড্রোন হামলা চালায়, যাতে তিনজন সাংবাদিক এবং বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য নিহত হন।

সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো এএফপিকে জানিয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা শুক্রবার প্রাসাদ সংলগ্ন আল-মোগরান এলাকার ভবনগুলোতে আশ্রয় নেয়।

এই এলাকাটিতে ব্যাংক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর অবস্থিত। তারা ওমদুরমান শহরের দিকে এবং খার্তুমের সরকারি দপ্তরগুলোর দিকে স্নাইপার মোতায়েন করে।

বর্তমানে খার্তুমে সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান তৈরি হওয়ায় রাজধানীতে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় হবে এবং সংঘাতে তারা বড় ধরনের সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদক হিবার মতে, গত কয়েক মাসে সেনাবাহিনী ‘ক্রমবর্ধমান সাফল্য’ লাভ করেছে।

তিনি আরও জানান, ‘তারা রাজধানীর উত্তরে এবং পূর্বে আরএসএফ-এর কাছ থেকে এলাকা পুনরুদ্ধার করছে, তবে এখনো কিছু অংশে আরএসএফ-এর উপস্থিতি রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলে।’

হিবার ভাষ্যমতে, বর্তমানে সুদানে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা হলো পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ।

অন্যদিকে, আরএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুদানে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার প্রাক্তন ডেপুটি, আরএসএফ প্রধান মোহামেদ হামদান দাগলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে দেশটিতে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং এক কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *