সুদানের রাজধানী খার্তুমে সম্প্রতি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর গোলাবর্ষণে একটি মসজিদে অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব খার্তুমের একটি মসজিদে তারাবি নামাজের সময় এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয় আইনজীবীদের একটি সংগঠন জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে সাধারণ নাগরিকের সংখ্যাই বেশি।
খবর অনুযায়ী, গত শুক্রবার সুদানি সামরিক বাহিনী (এসএএফ) রাজধানী খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে অভিযান শুরু করার পর থেকে আরএসএফ বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে, রবিবার খার্তুমের যমজ শহর ওমদুরমানে আরএসএফ-এর আর্টিলারি হামলায় তিনজন নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ গোলাবর্ষণ।
সুদানি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা রাজধানী থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় পুনরুদ্ধার করেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদুল্লাহ্ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, সেনারা “কেন্দ্রীয় খার্তুমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা কয়েকশ মিলিশিয়া সদস্যকে” নির্মূল করেছে।
এদিকে, আরএসএফ পশ্চিম সুদানে তাদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করছে এবং সেখানে একটি সমান্তরাল সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
যদিও আন্তর্জাতিক মহলে এর স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুদানি সামরিক বাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার প্রাক্তন উপ-অধিনায়ক মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ-এর মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে।
এই দুই বছর ব্যাপী চলমান সংঘাতের ফলে দেশটিতে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা