জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে কিশোরদের লড়াই, শীর্ষ আদালতে কী হলো?

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে ফেডারেল সরকারকে বাধ্য করার জন্য তরুণদের একটি আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসা একদল তরুণের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

এই ঘটনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইনি লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে ২১ জন কিশোর-কিশোরীর করা একটি মামলার শুনানিতে আদালত এই সিদ্ধান্ত জানায়।

ওই মামলায় তারা অভিযোগ করেন, ফেডারেল সরকারের জ্বালানি নীতি তাদের জীবন, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, মর্যাদা, শারীরিক নিরাপত্তা এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকার থেকে বেআইনিভাবে বঞ্চিত করেছে। মূলত, সরকার যেসব নীতি গ্রহণ করেছে, তার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তাদের মতে, সরকারের এসব পদক্ষেপ তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। মামলার শুনানিতে আদালত মূলত দুটি বিষয় বিবেচনা করেছেন।

প্রথমত, আবেদনকারীদের মামলা করার অধিকার আছে কিনা, অর্থাৎ তাদের ‘মামলা করার অধিকার’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিনা। দ্বিতীয়ত, তাদের পক্ষে রায় আসলে সরকারের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা।

এই মামলায় নবম সার্কিট ফেডারেল আপিল আদালত রায় দেয় যে আবেদনকারীদের মামলা করার অধিকার নেই এবং একটি ফেডারেল জেলা আদালতকে মামলাটি খারিজ করার নির্দেশ দেয়। এরপর বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে উঠলে আদালত আবেদনটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের অনেক দেশের মতো, বাংলাদেশের মানুষও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের শিকার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বাস্তুচ্যুত হওয়ার মতো ঘটনাগুলো এখানকার মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা যায়। এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের এই সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।

আদালতের এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন আদালতে যুক্তি দেখিয়েছিল যে, এই মামলাটি আদালতের এখতিয়ারের বাইরে।

সাধারণত, সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণ জানায় না এবং কোনো ভিন্নমতও উল্লেখ করা হয়নি।

এই মামলার রায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নীতি এবং আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *