মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট সঙ্গীত শিল্পী আর. কেলির আপিল খারিজ করে দিয়েছে। যৌন নির্যাতন ও মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁর সাজা বহাল রাখল আদালত। এই রায়ের ফলে, কেলিকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আদালতে কেলির আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরেছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রসিকিউটররা ‘র্যাকেটিয়ারিং ইনফ্লুয়েন্সড অ্যান্ড করাপ্ট অর্গানাইজেশনস (RICO) অ্যাক্ট’-এর অপব্যবহার করেছেন। মূলত, এই আইনটি সংগঠিত অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়।
আইনজীবীদের দাবি ছিল, এই আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী কেলির কার্যক্রম ‘এন্টারপ্রাইজ’-এর পর্যায়ে পড়ে না। ১৯৭০ সালের এই আইনের অধীনে কেলিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
তাঁর আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে জানান, প্রসিকিউটররা ‘এন্টারপ্রাইজ’-এর সংজ্ঞা ভুলভাবে ব্যবহার করে আইনের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তাঁদের মতে, কোনো আইনি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কোনো খারাপ ব্যক্তি যদি অপরাধ করে, তাহলে তাকে এই আইনের আওতায় আনা যায় না।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে ম্যানহাটনের ২য় ইউএস সার্কিট কোর্ট অফ আপিলও কেলির বিরুদ্ধে রায় দেয়। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। তবে আদালত তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করেনি।
সাধারণত, সুপ্রিম কোর্ট আপিল খারিজ করার কারণ ব্যাখ্যা করে না। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগেও একবার কেলির একটি আপিল খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সেই আপিলে তিনি ২০০৩ সালে পাস হওয়া একটি ফেডারেল আইনের অধীনে, তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সেই আইনে, নাবালকদের সঙ্গে যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে, মামলার সময়সীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
রবার্ট সিলভেস্টার কেলি, যিনি আর. কেলি নামেই পরিচিত, একজন গ্র্যামি জয়ী আরএন্ডবি শিল্পী। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
এই মামলার রায়, বিচার বিভাগের কার্যকারিতা এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় করবে। তথ্য সূত্র: সিএনএন