যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে অচলাবস্থা, ওকলাহোমার চার্টার স্কুল নিয়ে রায় বহাল।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে, ওকলাহোমার একটি প্রস্তাবিত ক্যাথলিক চার্টার স্কুল, সেন্ট ইসিডোর অফ সেভিল ক্যাথলিক ভার্চুয়াল স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) হওয়া এই শুনানিতে ৪-৪ ভোটে রায় নিষ্পত্তি হওয়ায় এমনটা হয়েছে।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেট নিজেকে এই মামলার বিচারকার্য থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করেননি, তবে জানা যায়, এই বিচারপতির সাথে সেন্ট ইসিডোর স্কুলের পক্ষে আইনি লড়াই করা আইনজীবীদের গভীর সম্পর্ক ছিল।
এই মামলার মূল বিষয় ছিল, কোনো সরকারি অর্থ ধর্মীয় বিদ্যালয়ে দেওয়া যায় কিনা, বিশেষ করে চার্টার স্কুলে অনুদান দেওয়া যাবে কিনা। এই ধরনের সাহায্য মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী ‘ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরণ’ নীতির লঙ্ঘন হবে কিনা, সেই বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হয়।
চার্টার স্কুলগুলো হলো এমন ধরনের বিদ্যালয়, যা বেসরকারিভাবে পরিচালিত হলেও সরকারি অর্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। আমেরিকায় বর্তমানে প্রায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী এই ধরনের স্কুলে পড়াশোনা করে। এই ধারণা ১৯৯০ এর দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত, সারা দেশে প্রায় ৮,০০০ চার্টার স্কুল চালু ছিল।
ওকলাহোমার আইন অনুযায়ী, এই ধরনের স্কুলগুলো পাবলিক স্কুল হিসেবেই গণ্য করা হয়। রাজ্যের সাবেক গভর্নর কেভিন স্টিট এবং প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল জন ও’কনর স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিলেন। তবে, ২০২৩ সালে ওকলাহোমার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে জেন্টনার ড্রামন্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি স্কুলের অনুমোদন বন্ধের জন্য আদালতে মামলা করেন।
ওকলাহোমার উচ্চ আদালত ড্রামন্ডের পক্ষ নিয়ে রায় দেয়। তাদের মতে, প্রস্তাবিত স্কুলটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করে। এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সরকার কোনো নির্দিষ্ট ধর্মকে সমর্থন করতে পারবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই অচলাবস্থার কারণে বিতর্কিত এই ইস্যুতে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে, এর ফলে ভবিষ্যতে ধর্মীয় স্কুলগুলোর সরকারি অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন