স্ত্রীর মৃত্যু: কান্নায় আদালত কক্ষে ভেঙে পড়লেন চিকিৎসক!

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের একজন সার্জনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আনা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত ডা. ইনগোলফ ট্যুর্ককে স্বেচ্ছায় খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

২০২০ সালের মে মাসে ৪২ বছর বয়সী ক্যাথলিন ম্যাকলিনকে হত্যার অভিযোগে এই রায় আসে। মামলার শুনানিতে বিচারক ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত সার্জন।

আদালতে পেশ করা তথ্যানুযায়ী, ডা. ট্যুর্ক এবং ক্যাথলিনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ডা. ট্যুর্ক তার স্ত্রীর ঘাড় চেপে ধরেন।

ঘটনার পর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং একটি হোটেলে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যান। পরে পুলিশের জেরায় তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। যদিও তিনি দাবি করেন, আত্মরক্ষার্থে তিনি এমনটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

ডা. ট্যুর্কের আইনজীবী কেভিন রেডিনটন জানান, ক্যাথলিন তার স্বামীর অর্থ ও সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, ঘটনার সময় ডা. ট্যুর্ক মদ্যপ ছিলেন এবং আত্মরক্ষার কারণেই এমনটা করেছেন।

তবে প্রসিকিউটর লিসা বিটি জানান, ডা. ট্যুর্ক তার আর্থিক বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং পুনরায় বিবাহবিচ্ছেদ চাননি বলেই ক্যাথলিনকে হত্যা করেন। ঘটনার পর তিনি স্ত্রীর মৃতদেহ একটি পুকুরে ফেলে দেন।

আদালতে ক্যাথলিনের ভাই রিচার্ড ম্যাকলিন এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আসলে সে (ডা. ট্যুর্ক) কোনো শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয়, সে আমার বোনের সঙ্গে যা করেছে, তা কোনো মানুষের সঙ্গেই করার যোগ্য নয়।”

ডা. ট্যুর্ককে স্বেচ্ছায় খুন করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও, প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। আগামী ১৬ই মে তার সাজা ঘোষণা করা হবে।

এই অপরাধের জন্য তার সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা বিবেচনা করেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্য পাওয়ার জন্য ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

এছাড়াও, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তার জন্য নিচে দেওয়া নম্বরগুলোতে ফোন করতে পারেন: (এখানে বাংলাদেশের কিছু হেল্পলাইন নম্বর যোগ করা যেতে পারে)।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *