ভাগ্যিস্য টিভি’র পর্দায় এখনো টিকে আছে ‘সারভাইভার’!
২০০০ সাল থেকে সিবিএস-এ প্রচারিত এই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-টি দর্শকদের মধ্যে বেশ পরিচিত। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে গঠিত এই অনুষ্ঠানে, প্রতিযোগীরা বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নেয়, জোট গঠন করে এবং একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
বিজয়ীকে দেওয়া হয় “সোল সারভাইভার” খেতাব এবং সাথে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার। সম্প্রতি শেষ হওয়া সিজনগুলোতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এই অনুষ্ঠানে বিজয়ীর পুরস্কারের পরিমাণ বেশ আকর্ষণীয়। তবে, বিজয়ীকে অবশ্যই এই অর্থের উপর ট্যাক্স দিতে হয়। যেমন, প্রথম সিজনের বিজয়ী রিচার্ড হ্যাচকে ট্যাক্স পরিশোধ না করার কারণে প্রায় তিন বছর জেলে কাটাতে হয়েছিল।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীরাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পান। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পান ১ লক্ষ মার্কিন ডলার, আর তৃতীয় স্থান অধিকারী পান ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার।
শুধু বিজয়ীই নন, প্রত্যেক প্রতিযোগী কিছু না কিছু অর্থ পান। তাদের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে এই অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। যারা প্রথম দিকে বাদ পড়েন, তারা তুলনামূলকভাবে কম অর্থ পান, কিন্তু যারা দীর্ঘ সময় টিকে থাকেন, তাদের অর্থমূল্যও বাড়তে থাকে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক প্রতিযোগীকে সম্মানী দেওয়া হয়। সাধারণত, যিনি যত বেশি দিন টিকে থাকেন, তিনি তত বেশি অর্থ পান। এমনকি, লাইভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্যও প্রত্যেক প্রতিযোগীকে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হতো।
আগে ফাইনালের পর লাইভ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে বিশেষ সম্মানী দেওয়া হতো।
আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো, জনপ্রিয় শিল্পী সিয়া (Sia) ব্যক্তিগতভাবে এই শো-এর অনেক ভক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর পছন্দের প্রতিযোগীদের আর্থিক সাহায্য করতেন। ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে, তিনি তাঁর পছন্দের প্রতিযোগীদের “সিয়া প্রাইজ” নামে পুরস্কার দিয়েছেন। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। যদিও বর্তমানে এই পুরস্কারটি বন্ধ হয়ে গেছে।
“সারভাইভার” অনুষ্ঠানটি শুধু একটি রিয়েলিটি শো নয়, এটি একইসাথে একটি সুযোগ, যেখানে প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা প্রমাণ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল