মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
কলিন্স দীর্ঘদিন ধরে সিনেটে নিজের আসন ধরে রেখেছেন, তবে এবার ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে শক্ত চ্যালেঞ্জ আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
কলিন্সের বয়স এখন ৭২ বছর। তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি যে নির্বাচনে লড়বেন কিনা। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, কলিন্সের দুর্বলতাগুলো কাজে লাগিয়ে এই আসনে জয় পাওয়া যেতে পারে।
বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ popularity এবং আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের খারাপ ফলের সম্ভাবনা তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে। ডেমোক্রেটরা কলিন্সের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী খুঁজছেন।
এরই মধ্যে মেইনের বর্তমান গভর্নর জ্যানেট মিলস এবং কংগ্রেসম্যান জ্যারেড গোল্ডেন সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তবে গোল্ডেন কলিন্সের প্রাক্তন কর্মী ছিলেন এবং তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এই কারণে তিনি কলিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে।
গোল্ডেনের নিজের আসনটিও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রিপাবলিকান স্পিকারের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি। গোল্ডেন যদি সিনেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার বর্তমান হাউস সিটের ভাগ্যও নির্ধারিত হবে।
এই পরিস্থিতিতে, মেইনের রাজনীতিতে প্রাক্তন গভর্নর পল লেপেজ-এর ফিরে আসাটাও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
লেপেজ ইতোমধ্যেই একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লেপেজের পরিচিতি এবং অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতা রিপাবলিকানদের জন্য সহায়ক হবে।
ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য গোল্ডেনকে তাদের পক্ষে রাখতে আগ্রহী। তাদের মতে, গোল্ডেন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন, তাহলে আসনটি ধরে রাখা কঠিন হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কলিন্সের সিদ্ধান্ত মেইনের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
তার প্রার্থিতা এবং সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন