সত্তরের দশকে জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘দ্য ব্র্যাডি বান্চ’-এর ‘সিন্ডি ব্র্যাডি’ চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া সুসান ওলসেন (Susan Olsen)। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অল্প বয়সে এই চরিত্রে অভিনয়ের কারণে নিয়মিত চুল রাঙাতে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন।
যখন তিনি এই চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র আট বছর।
‘দ্য ব্র্যাডি বান্চ’ ছিল একটি পারিবারিক হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক, যা ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
সুসান ওলসেনের চরিত্রের জন্য নির্মাতারা তাঁর চুল নিয়মিতভাবে সোনালী রঙে রাঙাতেন। সুসান জানান, প্রতি তিন সপ্তাহ অন্তর তাঁর চুলে রঙ করা হতো। এর ফলস্বরূপ, তাঁর চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং চুল পড়া শুরু হয়।
এমনকি এক পর্যায়ে তাঁর মা-ই তাঁর চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করেন।
ছোট্ট সিন্ডিকে পর্দায় আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য নিয়মিতভাবে তাঁর চুলে ‘ব্লন্ড’ রঙ করা হতো।
সে সময়ে চুলের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যগুলো বেশ শক্তিশালী ছিল।
সুসান জানান, তাঁর চুলের স্বাভাবিক কোঁকড়া ভাব ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ‘রোলার’ ব্যবহার করতে হতো, কারণ তাঁর চুল ছিল সোজা।
সম্প্রতি, সুসান ও তাঁর সহ-অভিনেতাদের সাথে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যেখানে তাঁরা তাঁদের একসঙ্গে কাজ করার স্মৃতিচারণ করেন।
এই অনুষ্ঠানে তাঁরা জানান, সেসময় সেটের সবাই একটি পরিবারের মতো ছিলেন এবং দর্শকদের কাছেও তাঁদের এই আন্তরিকতা ধরা পড়ত।
বর্তমানে তাঁরা একটি দাতব্য সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।
শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করা সবসময় সহজ ছিল না।
বিশেষ করে, যখন তাঁদের শারীরিক গড়ন এবং রূপচর্চার ওপর বিশেষ মনোযোগ দিতে হতো।
সুসানের ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কীভাবে সৌন্দর্য রক্ষার নামে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল