সুপরিচিত অভিনেত্রী সুসান সারান্ডন, যিনি একাধারে অভিনেত্রী এবং প্রযোজক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, সম্প্রতি ১৯৯৮ সালের চলচ্চিত্র ‘স্টেপমম’ নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে, তিনি জানান কীভাবে তিনি এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ওজন কমিয়েছিলেন এবং শুটিংয়ের সময়সূচী এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যেন ছুটির দিনগুলোতে খাওয়া দাওয়ার সুযোগ থাকে।
সাক্ষাৎকারে সারান্ডন জানান, ছবিতে তিনি একজন এমন নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত। চরিত্রের প্রয়োজনে তাকে অনেক ওজন কমাতে হয়েছিল। তাই, শুটিং শুরুর আগে তিনি চেয়েছিলেন ক্রিসমাসের ছুটিতে মরক্কোতে গিয়ে ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করতে। সেই কারণে তিনি প্রযোজক হিসেবে শুটিংয়ের সময় এমনভাবে নির্ধারণ করেছিলেন, যাতে করে ক্রিসমাসের বিরতি পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, সারান্ডন এই ছবিতে একজন প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি জানান, ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারের আবেগপূর্ণ চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি এমন একজন বন্ধুকে চেনেন যিনি তার স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন, এবং তার দুটি ছোট সন্তান ছিল। সারান্ডন সেই পরিবারের শিশুদের উদ্বেগের বিষয়ে সরাসরি কথা বলেছিলেন।
অভিনেতাদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতেও তিনি সচেষ্ট ছিলেন। তিনি পরিচালক হিসেবে ক্রিস কলম্বাসকে বেছে নিয়েছিলেন, যিনি ‘হোম অ্যালোন’ এবং ‘মিসেস ডাউটফায়ার’-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সারান্ডন চেয়েছিলেন, ছবিতে তার সন্তানদের চরিত্রে অভিনয় করা শিশুশিল্পীরা যেন সেটে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অভিনেত্রী জেনা মেলোন এবং লিয়াম আইকেনের সাথে এখনো তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
একজন মা হিসেবে এই সিনেমাটি তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সারান্ডন বলেন, “যখন আমার প্রথম সন্তান হয়, তখন জীবন সম্পর্কে নতুন করে অনেক কিছু অনুভব করি। বিশেষ করে মৃত্যুর ধারণাটা আমার মধ্যে গভীর রেখাপাত করে। আগে আমি কখনো ভাবিনি, কতদিন বাঁচতে পারবো, কিংবা একা থাকলে ঘরের নিরাপত্তা কেমন হবে। এই সিনেমাটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।”
সারান্ডন আরও যোগ করেন, এই সিনেমাটি করতে গিয়ে তিনি অনুভব করেছেন, কিভাবে একজন মানুষ জীবনের অনিশ্চয়তা এবং প্রিয়জন হারানোর ভয়কে মোকাবেলা করে।
তথ্য সূত্র: পিপল