সুইডেনে বন্দুক হামলায় নিহত ৩, শোকের ছায়া!

সুইডেনের উপসালা শহরে এক ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। বুধবার দেশটির প্রসিকিউশন বিভাগের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, নিহতদের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছে এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।

নিহতদের পরিবারের সদস্যদের এখনো খবরটি জানানো হয়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এসভিটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসালা শহরের ভাকসালা স্কয়ারের (Vaksala Square) কাছে বন্দুক হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর হামলাকারী একটি ইলেক্ট্রিক স্কুটার (electric scooter) যোগে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁরা গুলির মতো শব্দ শুনতে পান। ঘটনার পর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সুইডিশ পুলিশের মুখপাত্র ম্যাগনাস ক্লারিন (Magnus Klarin) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার আগে এসভিটিকে বলেন, “আমরা ওই এলাকায় গুলির শব্দ শুনেছি বলে খবর পেয়েছি। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।”

এখনও পর্যন্ত হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে, চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জানিয়েছিল, সুইডেন বর্তমানে গ্যাং-সংক্রান্ত সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সুইডেনে মাথাপিছু বন্দুক সহিংসতার হার ছিল সর্বোচ্চ। যদিও দেশটিতে অস্ত্রের মালিকানা বিষয়ক কিছু কঠোর নিয়ম রয়েছে, তার পরেও এমন ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে দেশটিতে ৬৩ জন বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছিল, তবে ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত সেই সংখ্যা ৪০-এ দাঁড়িয়েছে।

এই ঘটনার কয়েক মাস আগে, সুইডেনের ওরেব্রো শহরে একটি শিক্ষা কেন্দ্রে এক বন্দুকধারী হামলা চালায়। ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ওই হামলায় ১০ জন নিহত হয় এবং আহত হয় আরও ৬ জন।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাকে ‘দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *