সুইজারল্যান্ডের একটি মনোরম গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধস, একজন নিঁখোজ।
সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতমালার কোলে অবস্থিত ব্ল্যাটেন নামের একটি গ্রাম, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে। গত ২৮শে মে, বুধবার, এখানকার বিশাল একটি হিমবাহ ভেঙে পড়লে, এর ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে গ্রামের একটা বড় অংশ মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়।
এই ঘটনায় একজন ৬৪ বছর বয়সী ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিমবাহটি ভেঙে পড়ার ফলে বিশাল পরিমাণ বরফ, কাদা এবং পাথরের স্তূপ ব্ল্যাটেন গ্রামের দিকে নেমে আসে। এর ফলে গ্রামের প্রায় নব্বই শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
ঘটনার পরেই প্রায় ৩০০ জন বাসিন্দাকে আগে থেকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে, এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং উদ্ধারকর্মীরা নিরলসভাবে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
ব্ল্যাটেনের মেয়র মাটিয়াস বেলওয়াল্ড এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা গ্রামটি হারিয়েছি, কিন্তু আমাদের মনোবল হারাইনি।
তিনি আরও জানান যে, বিপর্যয়ের পরে গ্রামবাসীদের সাহায্য করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ভূমিধসের কারণে লনজা নদীর গতিপথ রুদ্ধ হয়ে গেছে, ফলে সেখানে একটি হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নদীর জলস্তর বেড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে।
উদ্ধার ও ত্রাণকার্য পরিচালনার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের এই ঘটনা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের একটি উদাহরণ। হিমবাহগুলির দ্রুত গলন ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।