স leadনীর হামলাকারী কি মানসিক রোগী ছিলেন না? ডাক্তার যা বললেন…

সিডনির একটি শপিং মলে ছুরি হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত জোয়েল কাউচির মানসিক অবস্থা নিয়ে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের ১৩ই এপ্রিল, এই হামলায় ছয়জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছিল।

ঘটনার তদন্তে জানা যায়, হামলাকারী জোয়েল কাউচির প্রাক্তন চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার এই নারকীয় কাজের পেছনে মানসিক বিকার বা সাইকোসিসের (psychosis) কোনো ভূমিকা ছিল না। বরং, নারীদের প্রতি ঘৃণা, যৌন অতৃপ্তি এবং পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তিই ছিল তার মূল কারণ।

ডা. এ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কাউচির চিকিৎসা করেছেন, আদালতের শুনানিতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং এর পেছনে মানসিক অসুস্থতা ছিল না।

বরং, কাউচি নারীদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ পোষণ করতেন এবং যৌন বিষয়গুলো নিয়ে হতাশ ছিলেন। এর আগে, অন্যান্য বিশেষজ্ঞের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ডা. এ-এর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত।

তারা ধারণা করেছিলেন, হামলার সময় কাউচি সম্ভবত গুরুতর মানসিক বিকারের শিকার হয়েছিলেন।

ডা. এ আরও জানান, ঘটনার কয়েক বছর আগে তিনি কাউচিকে ওষুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এমনকি, হামলার কয়েক মাস আগে কাউচির মা, মিশেল কাউচি, তাঁর ছেলের মানসিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।

তিনি জানিয়েছিলেন, কাউচি শয়তানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কথা বলতেন এবং পর্নোগ্রাফি ও যৌন রোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন। যদিও ডা. এ এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন এবং তাঁর চিকিৎসার পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি দেখান।

তাঁর মতে, ওষুধ বন্ধ করার সিদ্ধান্তে কোনো ভুল ছিল না।

এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী অ্যাশ গুড, যিনি তাঁর নয় মাসের মেয়েকে নিয়ে শপিং মলে গিয়েছিলেন। হামলায় শিশুটিও আহত হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলার পর পরই জোয়েল কাউচিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কুইন্সল্যান্ড পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার রোজার লো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তিনি জানেন যে কাউচি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।

তবে, বর্তমানে প্রাক্তন চিকিৎসকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার নতুন মোড় এসেছে।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *