সিরিয়ায় একটি গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫২ জন। রবিবার দামেস্কের মার ইলিয়াস গ্রিক অর্থোডক্স গির্জায় এই হামলা চালানো হয়।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা জড়িত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, হামলাকারী গির্জার ভিতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় এবং পরে বিস্ফোরক ভর্তি একটি জ্যাকেটের বিস্ফোরণ ঘটায়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার খবর অনুযায়ী, হামলার সময় গির্জায় ধর্মীয় প্রার্থনা চলছিল। সিরিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে গির্জার ভেতরে ধ্বংসস্তূপ, ভাঙা কাঁচ এবং রক্তাক্ত অবস্থায় নিহতদের দেখা যাচ্ছে।
সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা, যা শ্বেত হেলমেট নামে পরিচিত, তারা হতাহতদের হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়ার এবং এলাকাটিকে সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গ্রিক অর্থোডক্স অ্যান্টিওকের প্যাট্রিয়ার্কিয়েট। তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শয়তানের চক্রান্তে এমন নৃশংসতা ঘটানো হয়েছে।”
জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত গেইর ও. পেডারসেন এই “জঘন্য অপরাধের” নিন্দা করে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, এবং সিরিয়ার কোনো সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত থমাস বারাক এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত” কাজ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তুরস্ক, জর্ডান, ইরাক, ইসরায়েল, গ্রিস, সাইপ্রাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, ইউক্রেন, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র এবং নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।