পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তাইওয়ান এখন সবচেয়ে সুখী, এমনটাই উঠে এসেছে ২০২৩ সালের গ্যালাপ বিশ্ব সুখ প্রতিবেদনে। ১৪৭টি দেশের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকায় দেশটি বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২৭ নম্বরে, যা তাদের প্রতিবেশী জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের চেয়ে অনেক ভালো।
প্রতিবেদন তৈরিতে মানুষের জীবনযাত্রার মান, মাথাপিছু আয়, সামাজিক সমর্থন, উদারতা, স্বাধীনতা এবং দুর্নীতিমুক্ত জীবন সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। তাইওয়ানের মানুষের মধ্যে অন্যের প্রতি সহানুভূতি এবং সহযোগিতা মনোভাব বেশি দেখা যায়।
সমীক্ষায় এটাও উঠে এসেছে যে, একটি সমাজে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা থাকলে, সেখানকার মানুষের সুখের অনুভূতি বাড়ে।
তাইওয়ান তার মুখরোচক রাস্তার খাবার, সুন্দর জাতীয় উদ্যান এবং উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য সুপরিচিত। রাজধানী তাইপে তার রাতের বাজার, উঁচু আকাশছোঁয়া অট্টালিকা এবং জাতীয় প্রাসাদ জাদুঘরের মতো আকর্ষণীয় স্থানগুলোর জন্য বিখ্যাত।
তাইওয়ানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত তাইনানে রয়েছে শতবর্ষ পুরনো স্থাপত্য, বিশেষ ধরনের খাবার এবং শান্ত জীবনযাত্রা।
ভোজনরসিকদের জন্য তাইওয়ান একটি স্বর্গরাজ্য। এখানকার রাতের বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় খাবার পাওয়া যায়, যেমন – অয়েস্টার অমলেট, ব্রেইজড্ পার্ক রাইস এবং “স্টিংকি টোফু”।
শুধু তাই নয়, এই দেশটিতেই জন্ম হয়েছে জনপ্রিয় “বাবল টি”-এর, যা এখন সারা বিশ্বে পরিচিত। তাইপের কাছাকাছি মাওকং-এর পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত চা বাগানগুলোতে ভ্রমণের মাধ্যমে তাইওয়ানের চা সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হওয়া যায়।
যারা একটু বিশ্রাম নিতে চান, তারা তাইওয়ানের উষ্ণ প্রস্রবণগুলোতে যেতে পারেন। তাইপের কাছে বেইতো একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, যেখানে জাপানি-শৈলীর পাবলিক বাথহাউস, ব্যক্তিগত কক্ষ এবং উন্নত মানের রিসোর্ট রয়েছে।
এছাড়া, উলাই বা রুই সুই-এর মতো ছোট শহরগুলোতেও পাহাড়ের দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ আছে।
ছোট্ট একটি দ্বীপ হলেও, তাইওয়ানে ঘুরে দেখবার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। এখানকার উন্নত ট্রেন ও দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর, কাজাখস্তান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, জাপান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং চীনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার