তাইওয়ান সরকার চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে এবং এস.এম.আই.সি.-কে তাদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে তাইওয়ানের কোনো কোম্পানিকে এই দুটি সংস্থাকে পণ্য বিক্রি করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
তাইওয়ানের এই পদক্ষেপ তাইওয়ান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
জানা গেছে, তালিকাভুক্তির কারণে এখন থেকে হুয়াওয়ে অথবা এস.এম.আই.সি.-এর সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে তাইওয়ানের কোম্পানিগুলোকে রপ্তানির অনুমতি নিতে হবে। এই তালিকায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে, যেমন – তালিবান ও আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠন এবং চীন, ইরান ও অন্যান্য দেশের কিছু কোম্পানি।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই হুয়াওয়ে এবং এস.এম.আই.সি.-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মূলত, চীন তাদের নিজস্ব অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) চিপ তৈরি করতে চাইছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের এনভিডিয়ার (Nvidia) সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবে এবং চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় চিপ সরবরাহ করবে।
এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশ্বের বৃহত্তম চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হলো তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। এনভিডিয়ার জন্য তারা প্রধান সরবরাহকারী।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র টিএসএমসিকে চীনা গ্রাহকদের কাছে কিছু উন্নত চিপ সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল, যা চীনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের একটি অংশ ছিল।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ানকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রধান মিত্র এবং তাদের অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। তাইওয়ানের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজারে একটি নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে, যার প্রভাব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস