একটি নতুন জীবনী, “বার্নিং ডাউন দ্য হাউজ: টকিং হেডস অ্যান্ড দ্য নিউ ইয়র্ক সিন দ্যাট ট্রান্সফর্মড রক”, আশির দশকের শুরুতে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যান্ড টকিং হেডসের উত্থান ও পতন নিয়ে নতুন করে আলোকপাত করেছে। সঙ্গীত সমালোচকদের মতে, এই বইটি কেবল একটি জীবনী নয়, বরং সঙ্গীত জগতের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের দলিল।
বইটি লিখেছেন জোনাথন গোল্ড, যিনি এর আগে ওটিস রেডিং এবং বিটলস-এর মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন। এই বইটিতে ১৯৭০-এর দশকে নিউ ইয়র্কের আন্ডারগ্রাউন্ড পাঙ্ক দৃশ্যপট থেকে টকিং হেডসের যাত্রা, তাদের সঙ্গীতশৈলীর বিবর্তন এবং ডেভিড বাইর্নের শিল্পী-জীবন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ডেভিড বাইর্ন ছিলেন ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী এবং গীতিকার। তাঁর কণ্ঠ এবং অভিনব স্টেজ পারফরম্যান্স ব্যান্ডটিকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে তুলেছিল।
টকিং হেডসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে, যখন ডেভিড বাইর্ন, টিনা ওয়েমাউথ এবং ক্রিস ফ্রান্জ ম্যানহাটনের একটি ছোট ক্লাবে প্রথমবার সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সেই সময়ের ফ্যাশন ও সঙ্গীতের প্রচলিত ধারা থেকে নিজেদের আলাদা করে, তারা নতুন ধারার সঙ্গীতের জন্ম দিয়েছিল।
তাদের গানের কথা ছিল গভীর, যা শ্রোতাদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করত। তাদের সঙ্গীতানুষ্ঠানে ডেভিড বাইর্নের “অস্বস্তিকর” উপস্থিতি এবং গানের “বৈপ্লবিক” সুর শ্রোতাদের আকৃষ্ট করত।
পরবর্তীকালে, জেরি হ্যারিসন নামক একজন শিল্পী এই দলে যোগ দেন, যা ব্যান্ডের সঙ্গীতকে আরও পরিণত করে। গোল্ডের লেখায় ডেভিড বাইর্নের অ্যাস্পারজার সিনড্রোম (এক ধরনের অটিজম) এবং এর কারণে অন্যদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল, সে সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।
যদিও এই বিষয়টি অনেক ভক্তের কাছে হয়তো অজানা, তবে যারা ব্যান্ডের গভীর অনুরাগী, তাঁদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে, ১৯৮৪ সালের কনসার্ট ফিল্ম “স্টপ মেকিং সেন্স”-এর পুনঃপ্রকাশের ফলে ব্যান্ডটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ আরও বেড়েছে। নতুন জীবনীটি সেই আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
টকিং হেডস-এর সঙ্গীত আজও একইভাবে প্রাসঙ্গিক, যা তাদের শিল্পীসত্তার প্রমাণ। এই বইটি সেই ব্যান্ডের উত্থান-পতনের একটি বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেছে, যা সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য একটি মূল্যবান সংগ্রহ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস