বাবা দিবস উদযাপন করছেন ক্যান্সারে আক্রান্ত এক ব্যক্তি, সন্তানের জন্ম দিলেন স্ত্রী।
বাবা দিবস উপলক্ষে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন ট্যানার এবং শেই মার্টিন দম্পতি। তাদের জীবনে এই প্রথম বাবা দিবস, আর এর সঙ্গেই তারা উদযাপন করছেন তাদের আদরের কন্যা অ্যামিলুর জন্ম।
ট্যানারের শরীরে বাসা বেঁধেছে চতুর্থ স্তরের কোলন ক্যান্সার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাদের মেয়ের জন্মের মুহূর্তগুলি। হাসপাতালে সন্তানের জন্ম থেকে শুরু করে ট্যানার ও শেইয়ের আবেগঘন মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় সদ্যোজাত শিশুকে প্রথমে ডাক্তাররা কোলে তুলে নেন, পরে একটি কম্বলে মুড়িয়ে ট্যানারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শিশুটিকে হাতে নিয়ে ট্যানার আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “সোনারা, তোমাকে দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি… আমি এত দিন ধরে এই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
প্রায় পাঁচ বছর আগে, যখন ট্যানারের ২৫ বছর বয়সে চতুর্থ স্তরের কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে, তখন থেকেই তারা তাদের জীবনের গল্প অনলাইনে তুলে ধরতে শুরু করেন। এরপর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অনুসারীর সংখ্যা আট লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।
ক্যান্সারের এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তারা সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সেই বিষয়ে খোলাখুলিভাবে তাদের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
এ বছর, অ্যামিলুর জন্মের আগে, ২৬শে ফেব্রুয়ারি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে ট্যানার এবং শেই তাদের সন্তান নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তারা জানান, সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রধান দুটি উদ্বেগের বিষয় ছিল – সন্তানের মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা এবং ট্যানারের জীবদ্দশায় সন্তানের পাশে থাকতে না পারা।
অবশেষে, সকল দ্বিধা দূর করে তারা সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ৩রা নভেম্বরের একটি টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে তাদের এই সুখবর জানান। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, “ক্যান্সার আমাদের থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। আমি জানি, তুমি কতটা বাবা হতে চেয়েছিলে। কিন্তু আমি তোমাকে সেরা কুকুর বাবা হিসেবে দেখেছি। আমরা আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেপসিস এবং ক্যান্সারের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে, সবকিছু সফল হয়েছে।
তাদের এই যাত্রা, ভালোবাসা এবং সাহসিকতার গল্প অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল