তানজানিয়ার বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা তান্ডু লিসুকে সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আদালতে হাজির করা হয়েছে। খবর অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে দেওয়া একটি বক্তৃতার কারণে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। লিসু তার সমর্থকদের ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে দেখা যায়, লিসু আদালতে প্রবেশের সময় তার সমর্থকেরা “কোনো সংস্কার নয়, নির্বাচনও নয়” বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। ২০১৭ সালে এক হামলায় ১৬টি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর লিসু এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন।
লিসুর দল, চাদেমা, নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, এই প্রক্রিয়া ক্ষমতাসীন দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা নির্বাচনের আগে এই সংস্কার দেখতে চায়।
এদিকে, কেনিয়ার বেশ কয়েকজন অধিকার কর্মী, যাদের মধ্যে দেশটির সাবেক বিচার মন্ত্রীও ছিলেন, তানজানিয়ায় প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা পান। তারা লিসুর মামলার শুনানিতে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। জানা গেছে, কেনিয়ার সাবেক বিচারপতি উইলি মুতুঙ্গা এবং অধিকার কর্মী হুসেইন খালিদকে দারুস সালামের জুলিয়াস নয়েরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয় এবং পরে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
কেনিয়ার সাবেক বিচার মন্ত্রী মার্থা কারুয়া জানান, “আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল এবং আমরা সংহতি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের তানজানিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি অবশ্য বলেছেন, সরকার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন