তানজানিয়ার বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার, লিসুর বিচার শুরুর আগে চাঞ্চল্য।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় প্রধান বিরোধী দলের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা, তুন্ডু লিসুর আদালতে হাজিরা দেওয়ার প্রাক্কালে এই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।
অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে বিরোধী দল চাদেমা-র ওপর সরকারের দমন-পীড়ন তীব্র হয়েছে।
বিরোধী দল চাদেমা-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের ডেপুটি চেয়ার জন হেকে এবং সেক্রেটারি জেনারেল জন মিয়াকাসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে দারুস সালাম শহরে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লিসুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এই অপরাধের জন্য তাঁর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির শাসনের মতোই বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের সরকারও ভিন্নমত দমনে কঠোর হচ্ছে। চাদেমা নির্বাচনের আচরণবিধি মানতে রাজি না হওয়ায় তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির অভিযোগ, এই আচরণবিধি আসলে ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
লিসু ২০১৭ সালে এক প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছিলেন, যেখানে তাকে ১৬ বার গুলি করা হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন দেশান্তরী থাকার পর ২০২৩ সালে দেশে ফিরে আসেন। এর আগে, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আফ্রিকার এই দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা লিসুর মুক্তি এবং বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, কর্তৃপক্ষের এই ধরনের পদক্ষেপ সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা।
লিসু নিজেও তাঁর দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
তানজানিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি সেখানকার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন অনেকে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান