শিরোনাম: রুপালি পর্দা থেকে ভিন্ন পথে: তারকাদের অপ্রত্যাশিত ক্যারিয়ার পরিবর্তন।
প্রায়শই আমরা তারকাদের ঝলমলে দুনিয়ার আকর্ষণীয় জীবনযাত্রা দেখি, যেখানে খ্যাতি আর বিপুল অর্থ তাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু অনেক সময়, এই খ্যাতি আর সাফল্যের শিখরে থেকেও, কিছু তারকা বেছে নেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পথ।
সিনেমার জগৎ থেকে তারা পাড়ি দেন অন্য কোনো অজানা গন্তব্যে, যা হয়তো আমাদের কল্পনার বাইরে। সম্প্রতি, এমন কিছু তারকার অপ্রত্যাশিত ক্যারিয়ার পরিবর্তনের গল্প সংবাদ মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে।
প্রথমে আসা যাক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও লেখিকা ফিবি ওয়ালার-ব্রিজের কথায়। ‘ফ্লিব্যাগ’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজের জন্য পরিচিত এই তারকা, সম্প্রতি একটি অক্টোপাসের ওপর তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন, যা দেখে অনেকেই বেশ অবাক হয়েছেন।
যদিও অ্যামাজনের সঙ্গে তার বড় চুক্তি ছিল, যেখানে তার অনুষ্ঠান নির্মাণের কথা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নিলেন সামুদ্রিক প্রাণীর জগৎ নিয়ে কাজ করা।
একইভাবে, অভিনেতা হ্যারি সেকম্বের কথা ধরুন। ব্রিটিশ কমেডি জগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এই শিল্পী, একসময় জনপ্রিয় ‘দ্য গুন্স’-এর সদস্য ছিলেন।
কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি একটি টিভি শো-তে ধর্ম বিষয়ক গান গেয়ে পরিচিতি পান।
অভিনেতা কাল পেন-এর কথা ভাবুন। ‘হারল্ড অ্যান্ড কুমার গো টু হোয়াইট ক্যাসেল’-এর মতো হাস্যরসাত্মক ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়ার পর, তিনি বারাক ওবামার সঙ্গে কাজ করেন এবং হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
শুধু অভিনয় জগৎ নয়, অন্য অনেক তারকারাও তাদের পরিচিতি ভেঙে নতুন দিগন্তে পাড়ি জমিয়েছেন। ‘ম্যালকম ইন দ্য মিডল’-এর জনপ্রিয় অভিনেতা ফ্রাঙ্কি মুনিজ অভিনয় থেকে দূরে গিয়ে নাসকারের মতো গাড়ির রেসিংয়ে মনোনিবেশ করেছেন।
এমনকি তিনি একটি ব্যান্ড পরিচালনা ও ভিনেগারের দোকান পর্যন্ত খুলেছিলেন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সম্ভবত করেছেন ‘হোম এলোন’ খ্যাত মাকাওলে কুলকিন। নব্বইয়ের দশকে যিনি ছিলেন বিশ্বজুড়ে পরিচিত এক শিশু-তারকা, তিনি একসময় অভিনয় জগৎ থেকে দূরে সরে যান এবং নিজের রুচি ও আগ্রহের জগৎ তৈরি করেন।
বর্তমানে তিনি একটি অনলাইন প্রকাশনা সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
এই তারকারা প্রমাণ করেছেন, খ্যাতির শীর্ষে থেকেও মানুষের ভেতরের অন্যরকম কিছু করার আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। তারা হয়তো সমাজের প্রচলিত ধারণা ভেঙে নিজেদের পছন্দের পথে হেঁটেছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
তাদের এই পদক্ষেপ বুঝিয়ে দেয়, জীবনে কিসের গুরুত্ব সবার আগে— খ্যাতি নাকি নিজের ভেতরের সন্তুষ্টি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান