যুক্তরাষ্ট্রের কর প্রদানের সময়সীমা: যারা আমেরিকায় কাজ করেন বা বিনিয়োগ করেন, তাদের জন্য জরুরি কিছু তথ্য।
এই নিবন্ধটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও বর্তমানে আমেরিকায় কাজ করছেন, অথবা সেখানে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করেছেন। আপনারা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো আর্থিক লেনদেন করে থাকেন, তাহলে সেখানকার কর সংক্রান্ত নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকাটা খুবই জরুরি।
এই নিবন্ধে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কর প্রদানের সময়সীমা এবং তা মেনে না চললে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রতি বছর, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকে ১৫ই এপ্রিল। এই সময়ের মধ্যে করদাতাদের তাদের ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হয়।
যদি কোনো কারণে এই সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে নির্দিষ্ট একটি ফর্ম পূরণ করে ৬ মাসের জন্য সময় বাড়ানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সময় বাড়ালেও, করের টাকা কিন্তু ১৫ই এপ্রিলের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে।
যদি সময় মতো ট্যাক্স রিটার্ন জমা না দেন, তাহলে কিছু জরিমানা হতে পারে। যেমন, আপনার বকেয়া করের ওপর প্রতি মাসে ৫% হারে জরিমানা করা হবে।
তবে, এই জরিমানার পরিমাণ আপনার বকেয়া করের ২৫%-এর বেশি হবে না। যদি আপনি সময় মতো ট্যাক্স পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে বকেয়া টাকার ওপর সুদও যুক্ত হবে। এছাড়াও, যদি আপনি ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে অনেক দেরি করেন, তাহলে সর্বনিম্ন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা হতে পারে।
তাই সময় মতো রিটার্ন জমা দেওয়া এবং কর পরিশোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যদি আপনি মনে করেন যে আপনার কোনো ট্যাক্স দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তবুও আপনার ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া উচিত। কারণ, আপনি হয়তো সরকারের কাছ থেকে কিছু টাকা ফেরত পাওয়ার যোগ্য।
যেমন, আপনি যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত কর দিয়ে থাকেন, তাহলে তা ফেরত পেতে পারেন। এছাড়াও, যদি আপনি স্ব-কর্মসংযুক্ত হন, অর্থাৎ নিজের ব্যবসা করেন, তাহলে সময় মতো ট্যাক্স রিটার্ন জমা না দিলে আপনার সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা (Social Security benefits) পেতে সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রের কর বিষয়ক কোনো জটিলতা অনুভব করেন, তাহলে একজন যোগ্য ট্যাক্স পরামর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন।