যুক্তরাষ্ট্রের ‘মমটক’ জগতের দুই পরিচিত মুখ টেইলর ফ্রাঙ্কি পল এবং মিরান্ডা ম্যাকহোর্টারের মধ্যে পুরোনো তিক্ততা ভুলে আবার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফিরে আসার গুঞ্জন উঠেছে। একসময় তাদের মধ্যেকার ‘সফট-সুইং’ কেলেঙ্কারি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল, যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল।
সম্প্রতি, এই দুই নারীর জীবনের নানা দিক নিয়ে নির্মিত একটি টেলিভিশন শো-তে তাদের সম্পর্কের পরিবর্তনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২২ সালের জুন মাসে, যখন টেইলর ফ্রাঙ্কি পল তার বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বন্ধুদের সঙ্গে ‘সফট-সুইং’-এর কথা জানান। তাদের এই সম্পর্কের টানাপোড়েনে অনেকেই জড়িয়ে ছিলেন।
এর মধ্যে মিরান্ডা ম্যাকহোর্টার এবং তার তৎকালীন স্বামীও ছিলেন। দ্রুতই এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে এবং বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
টেইলর এবং মিরান্ডার মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব ছিল, কিন্তু ঘটনার পর তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
‘সফট-সুইং’ বিষয়টি আসলে কী? এটি হলো এমন একটি সম্পর্ক যেখানে কাপলরা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে।
তবে টেইলর এবং মিরান্ডার ক্ষেত্রে, বিষয়টি তাদের ডিভোর্স পর্যন্ত নিয়ে যায়। মিরান্ডা প্রথমে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, যা টেইলরের কাছে খারাপ লেগেছিল।
এই ঘটনার পর, দুজনেই তাদের ভুলগুলো বুঝতে পারেন এবং ধীরে ধীরে পুরনো সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন।
টেলিভিশন শো-তে তাদের একসঙ্গে দেখা যাওয়া এবং অতীতের তিক্ততা ভুলে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানো, অনেক দর্শকের কাছে ইতিবাচক হিসেবে দেখা দিয়েছে।
মিরান্ডা স্বীকার করেছেন, অতীতের সেই ঘটনাগুলো তাদের জীবনে অনেক ভয়ের জন্ম দিয়েছিল, যা থেকে মুক্তি পেতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
এখন তিনি সেই সব বিষয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাভাবিক এবং ইতিবাচক।
টেইলরও স্বীকার করেছেন, মিরান্ডার সঙ্গে তার মনোমালিন্য তৈরি হওয়ার কারণ ছিল, তিনি সম্ভবত বন্ধুত্বের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেননি।
তাদের এই নতুন যাত্রা, ক্ষমা এবং সম্পর্কের গুরুত্বের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্যসূত্র: পিপল