বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় মার্কিন সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট অবশেষে তার গানের সম্পূর্ণ স্বত্বাধিকারী হলেন। কয়েক বছর ধরে তার পুরনো গানের মাস্টার রেকর্ডিং নিয়ে চলা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন।
এর ফলে, এখন থেকে তার তৈরি করা সব গান, মিউজিক ভিডিও, কনসার্টের ফিল্ম, অ্যালবামের আর্টওয়ার্ক এবং অপ্রকাশিত গানসহ সবকিছুই তার নিজের মালিকানায় চলে এসেছে।
টেইলর সুইফট সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানান, তিনি কোনো রকম শর্ত ছাড়াই, কারো সঙ্গে অংশীদারিত্ব ছাড়াই তার গানগুলো কিনেছেন।
এর আগে, তার পুরনো গানের মাস্টার রেকর্ডিংগুলো একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি কোম্পানি, শ্যামরক ক্যাপিটালের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। এই কোম্পানি থেকেই তিনি তার গানগুলো কিনে নেন।
সুইফট জানান, তার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার ‘এরাস ট্যুর’-এর সাফল্যের পরেই তিনি শ্যামরক থেকে গানগুলো “ফিরিয়ে” নিতে পেরেছেন।
তিনি শ্যামরক ক্যাপিটালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারাই প্রথম তাকে গানগুলো ফেরত কেনার সুযোগ দিয়েছিল।
২০১৯ সালে প্রযোজক স্কুটার ব্রাউনের ‘ইথাকা হোল্ডিংস’-এর কাছে সুইফটের প্রথম ছয়টি অ্যালবামের মাস্টার রেকর্ডিং বিক্রি করা হয়েছিল।
সেই সময়ে সুইফট অভিযোগ করেছিলেন যে, তাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি এবং গানগুলো কেনার সুযোগও দেওয়া হয়নি। এরপর তিনি নিজের গান ফিরে পাওয়ার জন্য অ্যালবামগুলো পুনরায় রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৮ সালে ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর, সুইফট তার গানের মাস্টার রেকর্ডিংয়ের মালিকানা ফিরে পান।
এরপর তিনি ‘রেড’, ‘স্পিক নাও’, ‘ফেয়ারলেস’ এবং ‘১৯৮৯’ অ্যালবামগুলোর ‘টেইলরস ভার্সন’ প্রকাশ করেন। এই সংস্করণগুলোতে আগে প্রকাশ না হওয়া গানও ছিল।
বর্তমানে, সুইফট তার আত্মপ্রকাশ অ্যালবাম সহ আরও কিছু পুরনো গানের ‘টেইলরস ভার্সন’ তৈরির কাজ করছেন।
তবে, ‘রেপুটেশন’ অ্যালবামটি পুনরায় রেকর্ড করার কাজ এখনো শেষ হয়নি। তিনি বলেছেন, ভক্তরা চাইলে ভবিষ্যতে অ্যালবামগুলো আবার নতুন করে প্রকাশ করা হতে পারে।
সুইফটের পুরনো গানগুলো পুনরায় রেকর্ড করার এই পদক্ষেপ শিল্পী এবং গানের মালিকানা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে।
তিনি জানান, এই ঘটনার কারণে অন্য শিল্পীরাও তাদের গানের মালিকানা ফিরে পাওয়ার জন্য উৎসাহিত হচ্ছেন। সুইফট আরও উল্লেখ করেন, শিল্পী এবং ভক্তদের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা হওয়ায় তিনি আনন্দিত।
টেইলর সুইফটের এই পদক্ষেপ সঙ্গীত জগতে শিল্পী-অধিকার এবং মালিকানা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তথ্য সূত্র: CNN