আয় নিয়ে অসন্তুষ্ট, অভিভাবকদের দায়ী করলেন শিক্ষক! আপনিও কি একই সমস্যায়?

শিক্ষকতার পেশা বেছে নেওয়ার পর আক্ষেপ! অভিভাবকদের কি কোনো দায় নেই?

বর্তমান যুগে ভালো একটি চাকরি পাওয়া এবং সেই অনুযায়ী অর্থ উপার্জন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে এই বিষয়টি অপরিহার্য।

সম্প্রতি, অনলাইনে একটি আলোচনা সভায় এক শিক্ষক তাঁর পেশা নির্বাচন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অভিভাবকরা যদি ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতেন, তাহলে হয়তো তিনি অন্য কোনো পেশা বেছে নিতেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষক “Mumsnet” নামক একটি অনলাইন ফোরামে তাঁর অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, শিক্ষকতা জীবনে তিনি একটি সাধারণ জীবন যাপন করতেন, যেখানে ছুটি কাটানো বা সামান্য কিছু উপভোগ করার সুযোগ ছিল।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রা আগের মতো নেই। তাঁর মতে, জীবন ধারণের জন্য অর্থের গুরুত্ব অনেক বেশি, এবং তাঁর মনে হয়, তিনি যদি অন্য কোনো পেশা বেছে নিতেন, তাহলে ভালো করতেন।

ওই শিক্ষকের এই মন্তব্যের পর অনলাইন ফোরামে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে আসে। অনেকে মনে করেন, অভিভাবকদের এখানে সরাসরি কোনো দোষ নেই। তাঁদের মতে, পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজস্ব পছন্দ এবং সিদ্ধান্তই প্রধান হওয়া উচিত।

আবার কেউ কেউ শিক্ষকের আর্থিক কষ্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে, কিন্তু সেভাবে বেতন বাড়েনি। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের ভালো বেতনের সুযোগ আছে এমন পেশা বেছে নিতে উৎসাহিত করা।

আগ্রহ, আনন্দ, কাজের সময় এবং উপার্জনের মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করে তবেই পেশা নির্বাচন করা উচিত।

বাংলাদেশেও কর্মজীবনের শুরুতে সঠিক পেশা নির্বাচন করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সমাজে, বিশেষ করে অভিভাবকদের একটি বড় ভূমিকা থাকে সন্তানদের ভবিষ্যৎ পেশা নির্বাচনে।

অনেক সময় দেখা যায়, অভিভাবকদের প্রত্যাশা ও সামাজিক চাহিদার কারণে ছেলেমেয়েরা তাঁদের পছন্দের পেশা থেকে দূরে চলে যায়। তবে, জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তা এবং ভালো উপার্জনের বিষয়টিও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *