ফেসবুক বন্ধুত্বের দিন শেষ? স্মার্টফোন ভবিষ্যৎ নিয়ে মেটা, অ্যাপলের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি!

প্রযুক্তি বিশ্বে পালাবদল: ফেসবুক, গুগল ও অ্যাপলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা।

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি খাতের প্রভাবশালী কোম্পানিগুলো, যেমন – মেটা (ফেসবুক), গুগল এবং অ্যাপল – তাদের ব্যবসার ধরনে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে।

আধুনিক ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপনকারী এই কোম্পানিগুলো এখন তাদের পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া এবং নতুন উদ্ভাবনের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

সম্প্রতি, এই পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে তাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্যে।

ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা এখন আগের মতো বন্ধু যোগ করা বা তাদের প্রোফাইলে আগের মত সক্রিয় থাকছেন না।

মেটা’র প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ নিজেই জানিয়েছেন, ব্যবহারকারীরা এখন সরাসরি বার্তা আদান-প্রদান বা ডিরেক্ট মেসেজিংয়ের দিকে বেশি ঝুঁকছেন।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তাও কমছে, যেখানে টিকটক এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলো দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

অন্যদিকে, গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের চাহিদাও কমতে শুরু করেছে।

অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এডি কিউ জানিয়েছেন, তাদের ডিভাইসে গুগলের সার্চ কোয়েরি হ্রাস পেয়েছে।

এর কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, মানুষ এখন সনাতন সার্চ ইঞ্জিনের পরিবর্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নির্ভর চ্যাটবট ব্যবহার করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে।

বাজার গবেষণা সংস্থা গার্টনারের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

অ্যাপলও তাদের আইফোন নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে অ্যাপলের একজন নির্বাহী জানান, আগামী ১০ বছরে আইফোনের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে।

স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হিসেবে অ্যাপল এখনও বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, তবে তারা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে উঠে আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি, যেমন – স্মার্ট গ্লাস এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর)।

মেটা, গুগল এবং স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে এই খাতে বিনিয়োগ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, স্মার্ট গ্লাস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা তাদের চারপাশের জগৎকে বিশ্লেষণ করতে পারবে এবং ফোনের সাহায্য ছাড়াই বিভিন্ন কাজ করতে পারবে।

তবে, প্রযুক্তি জায়ান্টদের এই পরিবর্তনগুলো তাদের জন্য একটি সুযোগও তৈরি করেছে।

নতুন উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করে তারা বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করতে চাইছে।

একই সঙ্গে, পুরনো প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে আরও উন্নত পণ্য তৈরি করতে চাইছে তারা।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রযুক্তির এই পরিবর্তনে আমাদের প্রস্তুতি রাখা।

কারণ, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির এই পালাবদল আমাদের জীবনযাত্রাকেও প্রভাবিত করবে।

নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে, আমরাও বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে আরও বেশি যুক্ত হতে পারব।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *