১৬ বছরের কিশোরীকে মেরে মায়ের কাছে ছবি পাঠায় যুবক! ভয়ঙ্কর পরিণতি

ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে স্টিভেন গ্রেস নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, গ্রেস তার বান্ধবী মিশেল ব্র্যান্ডেসের সঙ্গে মিলে মেয়েটিকে বন্দী করে নির্যাতন চালান এবং পরে হত্যা করেন।

পুলিশের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার কয়েক দিন আগে গ্রেস নির্যাতিতা কিশোরীর ছবি তার মা এবং আরও কয়েকজনকে পাঠিয়েছিলেন। ছবিতে মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। এমনকি মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও, গ্রেসের মা কিংবা ছবি পাওয়া অন্য কেউ পুলিশকে বিষয়টি জানায়নি।

সংবাদ সংস্থা পিপলস-এর তথ্য অনুযায়ী, গ্রেসের পাঠানো ছবিগুলোতে মেয়েটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে, এবং তার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন ছিল। একটি ছবিতে মেয়েটির মুখ এতটাই ফুলে গিয়েছিল যে তাকে চেনা যাচ্ছিল না।

ঘটনার কয়েক দিন পরেই গ্রেস ও ব্র্যান্ডেস মিলে মেয়েটিকে হত্যা করে, এরপর তারা তার মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে একটি ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।

গ্রেফতারকৃত গ্রেস পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়েটিকে তিনি একটি আংটি চুরির অভিযোগে মারধর শুরু করেন। তবে গ্রেসের এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্র্যান্ডেসের ঈর্ষার কারণেই মূলত আংটি চুরির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ওই বন্ধু আরও জানান, মেয়েটির মৃত্যুর পর ব্র্যান্ডেস আংটিটি খুঁজে পান।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেস আরও জানান, ব্র্যান্ডেস একটি বালিশ দিয়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরেছিল এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পর তারা ব্র্যান্ডেসের জন্মদিনের পার্টি করার জন্য মিনি গল্ফ খেলতে যান এবং পোপয়েস-এর খাবার খান।

বর্তমানে গ্রেস ও ব্র্যান্ডেসকে হত্যা ও অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও সন্ধান পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *