ত্বকের ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, একজন তরুণের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি, ১৫ বছর বয়সে স্টেজ ৩ মেলানোমা ধরা পড়া স্যামুয়েল গীর গল্পটি আমাদের সকলের জন্য শিক্ষণীয়।
চামড়ার ক্যান্সার, যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়লে মারাত্মক রূপ নিতে পারে, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সচেতনতা জরুরি।
স্যামুয়েল, যিনি এখন টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটিতে প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করছেন, জানান যে তার শরীরে একটি আঁচিল ছিল, যা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কুস্তি খেলার সময় এক রেফারির পরামর্শে তিনি ২০১৯ সালে সেটি পরীক্ষা করান।
পরীক্ষার ফলস্বরূপ, তার শরীরে মেলানোমা ধরা পরে। চিকিৎসকরা জানান, ক্যান্সারটি ততদিনে তৃতীয় স্তরে পৌঁছে গেছে।
স্যামুয়েলের ভাষায়, প্রথমে তিনি একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। ক্যান্সারের কারণে তার পায়ের কাছে লিম্ফ নোড ফুলে গিয়েছিল, যা শুরুতে স্বাভাবিক মনে করে ডাক্তাররা গুরুত্ব দেননি।
তারা এটিকে বয়ঃসন্ধিকালের একটি লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, এটি আসলে ক্যান্সারের বিস্তার।
চিকিৎসার অংশ হিসেবে, স্যামুয়েলকে ইমিউনোথেরাপি নিতে হয়েছে। কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় এই চিকিৎসা তার জন্য কিছুটা সহজ ছিল।
তিনি জানান, চিকিৎসার সময় মাঝে মাঝে দুর্বল লাগতো, বমি বমি ভাব হত অথবা খুব ক্লান্ত লাগত। ইমিউনোথেরাপির পর, তিনি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ এবং লিম্ফ নোড অপসারণ করেন।
বর্তমানে তিনি রোগমুক্ত এবং সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, মেলানোমা হলো ত্বকের ক্যান্সারের একটি ধরন, যা অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। যদিও এটি ত্বকের ক্যান্সারের একটি ছোট অংশ, তবে এর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
এই ক্যান্সার সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও, তরুণদের মধ্যেও এর ঝুঁকি রয়েছে।
স্যামুয়েল এখন নিয়মিতভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন এবং অন্যদেরও এটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা খুবই জরুরি।
আমাদের মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে তরুণদেরও সচেতন হতে হবে। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া এবং কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আসুন, আমরা সবাই ত্বকের ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হই এবং নিজেদের সুস্থ রাখি।
তথ্য সূত্র: পিপল