মায়ের কথায় বাবার সম্মানহানি! মুখ খুলল ১৬ বছরের কিশোরী, কিন্তু…

শিরোনাম: বাবার সম্পর্কে মায়ের ‘ঠাট্টা’ ভালো লাগে না কিশোরীর, প্রতিকার চাইছে সে

একটি ১৬ বছর বয়সী কিশোরী, যে তার বাবা-মায়ের মধ্যে ভালোবাসার মুহূর্তগুলো দেখতে পছন্দ করে, তার মা মাঝে মাঝে বাবার সম্পর্কে কিছু কথা বলেন, যা শুনে সে অস্বস্তি বোধ করে। মা-বাবার বর্তমান সম্পর্ক ভালো হলেও, কিশোরীর মনে হয়, মায়ের এই ধরনের মন্তব্যগুলো তার ভালো লাগে না।

এই বিষয়ে সে সাহায্য চেয়েছিল একটি অনলাইন ফোরামে।

কিশোরী জানায়, তার বাবা-মা’র সম্পর্ক এখন বেশ ভালো। তাদের মধ্যে ভালোবাসার মুহূর্ত দেখলে সে খুব খুশি হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে মা এমন কিছু কথা বলেন যা বাবার সম্পর্কে নেতিবাচক ইঙ্গিত দেয়, যদিও তা কিছুটা ‘ঠাট্টার ছলে’। এমন পরিস্থিতিতে, মেয়েটি মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতে চায় না বলে, সাধারণত চুপ করে থাকে এবং মায়ের কথায় সায় দেয়।

মেয়েটি আরও জানায়, সে বাবাকে খুব ভালোবাসে এবং বাবার প্রতি মায়ের এমন মন্তব্যগুলো তার ভালো লাগে না।

কিশোরীর মনে আছে, বাবার কর্মজীবনের কারণে যখন তিনি প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন, তখন মা প্রায়ই বাবার সম্পর্কে অভিযোগ করতেন। সেই সময়ে তাদের মধ্যে আর্থিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

মেয়েটি জানায়, মায়ের অভিযোগগুলো শুনতে তার ভালো লাগত না। একবার, যখন তার বয়স ৯ বছর, তখন মা বাবার সম্পর্কে কিছু কথা বলছিলেন, যা শুনে সে তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।

তখন মা রেগে গিয়ে তাকে বকাবকি করেন। মেয়েটি জানায়, সেদিনই প্রথম সে মাকে জানিয়েছিল যে বাবার সম্পর্কে এমন কথা বলা তার ভালো লাগে না। কিন্তু মা ক্ষমা চাননি, বরং মেয়েটিকে দুঃখ প্রকাশ করতে হয়েছিল।

বর্তমানে, পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও, মায়ের এই ধরনের মন্তব্য এখনও অব্যাহত আছে। তাই, মেয়েটি জানতে চায় যে, মায়ের এই আচরণ বন্ধ করতে বললে সে কি ভুল করবে?

এই বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে সে একটি অনলাইন ফোরামে (Reddit-এর “Am I the A——” ফোরাম) প্রশ্ন করে।

ফোরামের সদস্যরা সবাই মেয়েটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, বাবা-মায়ের নিজেদের মধ্যেকার সমস্যাগুলো সন্তানদের সামনে আনা উচিত নয়।

একজন মন্তব্যকারী বলেন, “প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যাগুলো তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত, শিশুদের সামনে তা প্রকাশ করা উচিত নয়।” অন্য একজন ব্যবহারকারী যোগ করেন, “মা হয়তো বাবার কিছু দুর্বলতা জানেন, কিন্তু তিনি তাকে ভালোবাসেন।

তাদের মধ্যে এখন হয়তো সম্পর্কের গভীরতা বেড়েছে, তাই ছোটখাটো বিষয়গুলো তেমন গুরুত্ব পায় না।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবারে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, কিশোরীর মা হয়তো তার স্বামীর কিছু দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন, কিন্তু তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক এখনো অটুট।

বিবাহিত জীবনে উত্থান-পতন আসতেই পারে, তবে আলোচনা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *