মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে শনিবার সকালে ৪.১ ম্যাগনিটিউডের একটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল গ্রিনব্যাক শহরের দক্ষিণ-পূর্বে।
তবে এর কম্পন শুধু টেনেসি রাজ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং আটলান্টা (জর্জিয়া), অ্যাশভিল (নর্থ ক্যারোলাইনা), এবং গ্রিনভিল (সাউথ ক্যারোলাইনা)-সহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি প্রায় ১৫.৫ মাইল গভীরে সংঘটিত হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৯টার কিছু পরে এই কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত পূর্ব টেনেসি অঞ্চলে প্রায়ই হালকা ভূমিকম্প হয়ে থাকে। এই অঞ্চলটি টেনেসি এবং উত্তর-পশ্চিম জর্জিয়া থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব আলাবামা পর্যন্ত বিস্তৃত।
যদিও এখানে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইতিহাস নেই, তবে মাঝেমধ্যে হওয়া কিছু ভূমিকম্পের কারণে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা পৃথিবীর অন্য অংশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে তোলে।
ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী হলেও, এই ঘটনা বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশও ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। আমাদের দেশেও মাঝেমধ্যে ভূমিকম্প হয় এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে।
ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে থাকে। তাই, এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে সচেতন থাকা এবং এর মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন