টেনিস ম্যাচে প্রতিপক্ষের শারীরিক গন্ধ নিয়ে কটূক্তি, বিতর্কের জন্ম দিলেন ব্রিটিশ খেলোয়াড়।
ফ্রান্সের তরুণ টেনিস খেলোয়াড় লুইস বোসনের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিপক্ষের করা একটি মন্তব্যের জেরে বর্তমানে বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রুঁয়ে ওপেন (Rouen Open) টেনিস টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে ব্রিটিশ খেলোয়াড় হ্যারিয়েট ডার্ট, বোসনের শারীরিক গন্ধ নিয়ে আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন। খেলা চলাকালীন এই ধরনের মন্তব্য নিঃসন্দেহে খেলাধুলার জগতে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের একটি উদাহরণ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৫ই এপ্রিল তারিখে। খেলায় ডার্ট, বোসনকে উদ্দেশ্য করে আম্পায়ারের কাছে বলেন, “আপনি কি তাকে (বোসন) ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে বলতে পারেন? কারণ তার শরীর থেকে খুব গন্ধ আসছে।” ডার্টের এই মন্তব্য দ্রুতই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেননি লুইস বোসন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যায়, একটি টেনিস বলের উপর ডিওডোরেন্ট-এর একটি স্টিক রাখা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে বোসন লেখেন, “আমার মনে হয়, একটি কোলাবোরেশন প্রয়োজন।” হাসির ইমোজি দিয়ে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ডার্টের এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেন। অনেকে তাঁর এই আচরণকে অখেলোয়াড়সুলভ হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, সম্ভবত ডার্ট হারছিলেন বলেই এমনটা করেছেন।
তবে বিতর্কের পরে, হ্যারিয়েট ডার্ট তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “আমি আজ কোর্টে যা বলেছি, তার জন্য দুঃখিত। এটি ছিল মুহূর্তের উত্তেজনায় করা একটি মন্তব্য, যা আমি সত্যিই regret করি।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এমনটা করতে চাইনি এবং এর সম্পূর্ণ দায়ভার আমার। লুইসের প্রতি আমার অনেক সম্মান রয়েছে এবং সে যেভাবে খেলেছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আমি এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেব এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।”
এই ম্যাচে বোসন ৬-০ এবং ৬-৩ সেটে ডার্টকে পরাজিত করেন। উল্লেখ্য, বোসন দীর্ঘদিন ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন এবং এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তিনি আবার র্যাঙ্কিংয়ে নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ম্যাচের আগে তিনি ৩0৩ নম্বর স্থানে ছিলেন। হ্যারিয়েট ডার্ট বর্তমানে ব্রিটিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে চতুর্থ স্থানে এবং বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১১০ নম্বরে রয়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল