টেসলার গাড়ি পোড়ানো নিয়ে তোলপাড়! ইতালিতে কি ঘটছে?

ইতালির রাজধানী রোমে একটি টেসলা শোরুমে অগ্নিকাণ্ডের পর দেশটির পুলিশ বিভাগ টেসলার অন্যান্য ডিলারশিপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গত সোমবার ভোরে টোরে অ্যাঞ্জেলা এলাকার একটি শোরুমে আগুন লেগে ১৭টি গাড়ি পুড়ে যায়।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা দেশের সব পুলিশ বিভাগকে টেসলা শোরুমগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে।

পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা ‘ডিগস’ এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখছে। তাদের ধারণা, এই ঘটনার পেছনে চরমপন্থী বা কোনো নাশকতামূলক গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেসলার মালিক ইলন মাস্ক এটিকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইতালিতে টেসলার ১৩টি ডিলারশিপ রয়েছে এবং সবগুলোই টেসলার মূল কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই রোমে অবস্থিত, এছাড়া ফ্লোরেন্স এবং মিলানেও তাদের শোরুম রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে টেসলার বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতেই এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনে শোরুমগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হবে।

ইলন মাস্কের কিছু বিতর্কিত রাজনৈতিক পদক্ষেপের কারণে টেসলার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর আগে জার্মানির ওটার্সবার্গে একটি ডিলারশিপে সাতটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম ও মালমোর দুটি শোরুমে কমলা রং দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি, ইতালির কট্টর-ডানপন্থী দলের নেতা মাত্তেও সালভিনিও মাস্কের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘টেসলা কোম্পানির বিরুদ্ধে এত ঘৃণা প্রকাশের কোনো কারণ নেই। ঘৃণা ও সংঘাতের এই পরিস্থিতি দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। আমি ইলন মাস্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশে যদিও টেসলা গাড়ির তেমন প্রচলন নেই, তবে বিশ্বজুড়ে পরিবেশ-বান্ধব গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। টেসলা এই ক্ষেত্রে একটি সুপরিচিত নাম।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *