ভারতে টেসলার প্রবেশ: গাড়ির দাম শুনলে চমকে যাবেন!

ভারতে প্রবেশ করলো টেসলা, বাংলাদেশের জন্য কি কোনো সুযোগ?

বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভারতের বাজারে প্রবেশ করলো বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারক সংস্থা টেসলা। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্সে তাদের প্রথম শোরুমটি খোলা হয়েছে। টেসলার এই পদক্ষেপ ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, টেসলার গাড়ির উচ্চ মূল্য অনেক ভারতীয়র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ভারতে টেসলার এই আগমন কয়েক বছর বিলম্বের পর হয়েছে। এর কারণ ছিল নীতিগত কিছু জটিলতা। টেসলার এই বাজারে প্রবেশ মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব যান ব্যবহারের দিকে দেশটির অগ্রযাত্রাকে আরও শক্তিশালী করবে। যদিও, টেসলার গাড়ির দাম বেশি হওয়ায় অনেক ভারতীয়র জন্য তা সহজলভ্য নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, টেসলার জনপ্রিয় মডেল ওয়াই (Y)-এর দাম শুরু হচ্ছে প্রায় ৬.৭৮ মিলিয়ন রুপি (ভারতীয় মুদ্রায়)। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় $৭৯,০৮৯-এর সমান। বাংলাদেশি টাকায় (২০ জুন, ২০২৪ তারিখে বিনিময় হার অনুযায়ী) এর মূল্য প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

বর্তমানে ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির অংশীদারিত্ব খুবই সামান্য, মোট গাড়ির বাজারের ২ শতাংশের কিছু বেশি। তবে, ভারত সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে চাইছে। টেসলার এই আগমন সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতে টেসলার এই পদক্ষেপে বাংলাদেশের জন্য কিছু শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। বাংলাদেশের বাজারেও বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে, এবং সরকারও এই খাতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। তবে, টেসলার মতো একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ভারতে প্রবেশ, আমাদের দেশের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করতে পারে। যেমন – উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, গাড়ির উচ্চ মূল্য এবং চার্জিং অবকাঠামোর অভাব ইত্যাদি।

ভারতে টেসলার আগমন সেখানকার বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। একইসাথে, উন্নত প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটবে, যা ভারতের অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে। টেসলার ভারতে বিনিয়োগ, সেখানকার সরকারের পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বাংলাদেশের জন্য, টেসলার এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এক্ষেত্রে, সরকারি নীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *