টেসলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: মাস্কের বিদায়ের পরেও থামছে না প্রতিবাদ!

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এখনো চলছে, যদিও তিনি সরকারি ব্যয় সংকোচ প্রকল্পের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। প্রযুক্তি খাতের এই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে “টেসলা টেকডাউন” নামক একটি আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছেন।

তাদের মূল লক্ষ্য হলো মাস্কের প্রভাব খর্ব করা এবং টেসলার ব্যবসায়ে ধস নামানো।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের কর্মীরা মাস্কের বিভিন্ন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করছেন। বিশেষ করে, মাস্কের “ডগ” প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বিরোধ এই বিক্ষোভের প্রধান কারণ।

মাস্ক, যিনি ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পকে ২৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি) অনুদান দিয়েছেন, ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করেছিলেন। এর পরেই তাদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়।

বিক্ষোভকারীরা টেসলার শেয়ার বিক্রি করতে এবং তাদের বিনিয়োগ তুলে নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের মতে, মাস্ককে প্রতিহত করতে পারলে জীবন বাঁচানো এবং গণতন্ত্র রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এদিকে, টেসলার বিক্রি এবং শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে টেসলার বিক্রি ১৩ শতাংশ কমেছে, যা তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পতন। শেয়ারের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

ওয়াশিংটন ডিসি’র জর্জটাউন এলাকার একটি টেসলা শোরুমের সামনে সম্প্রতি প্রায় ৩০ জন বিক্ষোভকারী সমবেত হন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মাস্ক “ডগ” প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ালেও তাদের প্রতিবাদ থামবে না।

তারা মনে করেন, মাস্ক এখনো সরকারের সঙ্গে জড়িত এবং তার প্রভাব বিস্তার অব্যাহত রয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলনে যুক্ত আছেন এবং মাস্কের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবে। তারা চান, বিনিয়োগকারীরা টেসলার শেয়ার থেকে তাদের অর্থ সরিয়ে নিক।

তবে, মাস্কের দল অথবা টেসলা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *