মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট টেক্সাসের এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর আপিল খারিজ করে দিয়েছে। এই ঘটনাটি বিচারব্যবস্থার ত্রুটি এবং মৃত্যুদণ্ডের বিতর্ককে আবার সামনে নিয়ে এসেছে।
সোমবার (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী) আদালত আরেলি এসকোবার নামের ওই আসামীর আপিল গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। এসকোবার ২০০৯ সালে অস্টিনের ১৭ বছর বয়সী কিশোরী বিয়াঙ্কা মালদোনাডোর ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে, এই মামলার সঙ্গে মিল রয়েছে ওকলাহোমার রিচার্ড গ্লসিপের মামলার।
গ্লসিপের মৃত্যুদণ্ডাদেশ সম্প্রতি বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। এসকোবারের মামলাটিতে, এমনকি প্রসিকিউটর অফিসও নতুন করে শুনানির পক্ষে ছিল, যারা প্রথমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এসকোবারের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল অস্টিন পুলিশ বিভাগের ডিএনএ ল্যাবের প্রমাণ। কিন্তু পরবর্তীতে এই ল্যাবে কিছু সমস্যা ধরা পরে।
ট্রাভিস কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ডেভিড ওয়ালবার্গ এই ডিএনএ প্রমাণকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তার মতে, “মিথ্যা, ভুল অথবা বিভ্রান্তিকর ডিএনএ প্রমাণ ব্যবহার করে এসকোবারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যা ন্যায়বিচারের মৌলিক ধারণার লঙ্ঘন।”
টেক্সাসের ক্রিমিনাল আপিল আদালত দু’বার এসকোবারের আপিল খারিজ করে দেয়। প্রথমবার, নিম্ন আদালত নতুন করে শুনানির নির্দেশ দিলেও, আপিল আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে।
দ্বিতীয়বার, সুপ্রিম কোর্টের পুনর্বিবেচনার নির্দেশ সত্ত্বেও, আপিল আদালত আগের রায় বহাল রাখে।
রিচার্ড গ্লসিপের মামলায়, ওকলাহোমার অ্যাটর্নি জেনারেল জেন্টনার ড্রামন্ড, নতুন প্রমাণের ভিত্তিতে গ্লসিপের মৃত্যুদণ্ড বাতিলের পক্ষে ছিলেন। কারণ, নতুন প্রমাণে দেখা যায়, গ্লসিপের ন্যায্য বিচার হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টও সেই যুক্তিতে রাজি হয়। আদালত জানায়, প্রসিকিউটরদের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া গ্লসিপের প্রতি অবিচার।
এই ঘটনা মৃত্যুদণ্ডের জটিলতা এবং বিচার বিভাগের দুর্বলতাগুলোকেই তুলে ধরে। বাংলাদেশেও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস