টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস-এর বিশাল বিনিয়োগ: আমেরিকায় সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উত্থান।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এক বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছে। টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস (Texas Instruments) নামক একটি সংস্থা এই খাতে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
এই বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য হলো, সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ তৈরির কারখানা স্থাপন করা। এই পদক্ষেপের ফলে টেক্সাস এবং ইউটা অঙ্গরাজ্যে সাতটি নতুন কারখানা তৈরি হবে এবং ৬০,০০০ এর বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এই বিশাল বিনিয়োগের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন” নীতি। ট্রাম্প চেয়েছিলেন, প্রযুক্তি-নির্ভর পণ্য সামগ্রীর উৎপাদন আমেরিকাতে ফিরে আসুক।
এর মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, তেমনই চীন সহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রযুক্তি বাজারে প্রতিযোগিতা করা সহজ হবে। এই লক্ষ্যে অ্যাপল, জেনারেল মোটরস, এবং অন্যান্য অনেক বড় কোম্পানিও আমেরিকায় তাদের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ প্রযুক্তি বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে কম্পিউটার, ডেটা সেন্টার এবং গাড়ির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মূল চালিকাশক্তি এই চিপ। তাই, এই শিল্পের উন্নতি দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড ল্যাটনিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টসের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদনকে সমর্থন করবে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিনিয়োগ তাদের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ, উন্নত প্রযুক্তির দৌড়ে চীনকে টেক্কা দিতে হলে এই ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
যদি বাংলাদেশের কথা বলি, তাহলে দেখা যায় আমাদের প্রযুক্তিখাতও ধীরে ধীরে বিকশিত হচ্ছে। স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে, সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি আমাদের জন্য অপরিহার্য। তাই, উন্নত বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের এই অগ্রগতি আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রায় ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকার সমান।
তথ্য সূত্র: CNN