সাহসী সেনাদের আত্মত্যাগের গল্প: আসছে নতুন জাদুঘর!

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘মেডেল অফ অনার’-এর বিজয়ীদের বীরত্বগাথা নিয়ে টেক্সাসে একটি নতুন জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আর্লিংটনে এই জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য খোলা হবে।

খবর অনুযায়ী, এই জাদুঘরে সম্মাননাপ্রাপ্ত যোদ্ধাদের জীবন ও আত্মত্যাগের গল্প তুলে ধরা হবে, যা দর্শকদের সাহস ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করবে।

এই জাদুঘরটি মূলত তৈরি করা হয়েছে ১৮৬১ সাল থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ‘মেডেল অফ অনার’ পাওয়া সেনাদের উৎসর্গ করে। জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি সেনা এই সম্মাননা পেয়েছেন।

এই পদকটি তাদেরকেই দেওয়া হয়, যারা যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বাজি রেখে অসামান্য সাহস ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছেন।

জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠদের মতো, এই সম্মাননা বিজয়ীরাও দেশ ও মানুষের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

এই জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হলো এর প্রদর্শনীগুলো, যেখানে বিভিন্ন সময়ের যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া সেনাদের বীরত্বের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। জাদুঘরের কর্মকর্তারা জানান, এখানে আসা দর্শকরা প্রথমে সৈন্যদের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং পরে তাদের বীরত্বের কাহিনী জানতে পারবেন।

এর মাধ্যমে দর্শকদের মধ্যে সাহস ও ত্যাগের চেতনা জাগ্রত হবে।

ভিডিও প্রদর্শনীতে মেডেল অফ অনার বিজয়ী সেনাদের সাক্ষাৎকার দেখা যাবে, যেখানে তারা দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন। বর্তমানে জীবিত ৬০ জনের বেশি সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছেন।

জাদুঘরের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস ক্যাসিডি জানান, এই জাদুঘর সবার জন্য, কারণ সাহস সবার জীবনেই প্রয়োজন। তাদের লক্ষ্য হলো, মেডেল অফ অনার বিজয়ীদের বীরত্বের গল্প দিয়ে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের জীবনেও কিছুটা সাহসের সঞ্চার করা।

জাদুঘরের উদ্বোধনের আগে শনিবার এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনা, আতশবাজি এবং ড্রোন শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। জাদুঘরটি টেক্সাস রেঞ্জার্স-এর গ্লোব লাইফ ফিল্ড এবং ডালাস কাউবয়স-এর এ টি অ্যান্ড টি স্টেডিয়ামের কাছে অবস্থিত।

তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *