টার্গেটে সন্ত্রাসী হামলা: ৪ বছরের শিশুকে খুন, আতঙ্কে টেক্সাস!

টেক্সাসে একটি টার্গেট স্টোরের বাইরে এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ছিল এক শিশুও। সোমবারের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩২ বছর বয়সী ইথান নিনিকেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অস্টিনের পুলিশ প্রধান লিসা ডেভিস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হামলাটি ছিল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যহীন এবং ইচ্ছাকৃত। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৪ বছর বয়সী হেক্টর লিওপোল্ডো মার্টিনেজ মাচুকো, যিনি টার্গেট স্টোরের একজন কর্মচারী ছিলেন।

এছাড়া, নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৬৫ বছর বয়সী অ্যাডাম চাও এবং তার নাতনি। হামলার সময় চাওয়ের স্ত্রী সামান্য আহত হন। নিহত শিশুর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

পুলিশের ধারণা, নিনিকে একটি শপিং কার্ট সংগ্রহ করতে থাকা কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর, তিনি একটি এসইউভিতে বসা অবস্থায় এক ব্যক্তিকে এবং তার ৪ বছর বয়সী নাতনিকে গুলি করেন। এরপর তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, হামলার পর নিনিকে একটি নির্মাণ সাইট থেকে একটি পানির ট্রাক ছিনতাই করার চেষ্টা করেন। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটান এবং একটি ভক্সওয়াগেন গাড়ি চুরি করেন।

পরবর্তীতে তিনি এক পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে ইট ছুঁড়েন এবং এক পর্যায়ে বিবস্ত্র অবস্থায় একটি উঠানে ঘোরাঘুরি করেন।

পুলিশ জানায়, নিনিকেকে শেষ পর্যন্ত একটি রাস্তার পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়, তাঁর হাতে বাইবেল ছিল। তাকে বশে আনতে টিজার ব্যবহার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি নিজেকে যিশু হিসেবে দাবি করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিনিকে এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা এবং আক্রমণের একাধিক অভিযোগ ছিল।

২০১৬ সালে তিনি মারধরের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং সামান্য সময়ের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ক্রিস ফেরান জানান, তিনি একটি হাইওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি দেখেন একটি এসইউভি দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল এবং কয়েকটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেও সেটি থামেনি।

তিনি তৎক্ষণাৎ ৯১১ নম্বরে ফোন করে ঘটনার কথা জানান এবং গাড়িটির পিছু ধাওয়া করেন।

সোমবারের এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন শিশুরা স্কুলে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এছাড়া, মিশিগানের একটি ওয়ালমার্টে এক ব্যক্তি ১১ জনকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা ঘটল।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *