যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “টেক্সাসে জীবনের মর্যাদা রয়েছে। আমি সবসময়ই গর্ভস্থ শিশুর জীবন রক্ষার জন্য, আমাদের রাজ্যের গর্ভপাত বিরোধী আইন সমুন্নত রাখতে এবং অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে নারীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করব।”
২০২২ সালে টেক্সাসে গর্ভপাত বিষয়ক একটি আইন প্রণয়ন করা হয়, যা কার্যত গর্ভপাতের ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই আইনের আওতায়, যদি কোনো নারীর জীবন ‘মৃত্যুর ঝুঁকিতে’ থাকে অথবা গুরুতর শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়, কেবল তখনই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়।
এই আইনের লঙ্ঘনকারীদের ১ লক্ষ ডলার পর্যন্ত জরিমানা, ডাক্তারি সনদ বাতিল এবং কারাদণ্ডের মতো শাস্তির বিধান রয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া নারী টম্বল বার্থ সেন্টারের একজন কর্মী ছিলেন। ওই ক্লিনিকের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর, হলি শিয়ারম্যান এই গ্রেফতারিতে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, ওই নারী একজন দক্ষ ধাত্রী ছিলেন এবং মূলত হিস্পানিক-ভাষী ও কম আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা করতেন। শিয়ারম্যান বলেন, “আমি এই অভিযোগ এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বাস করি না। আমি তাকে আট বছর ধরে চিনি এবং এমন কোনো বিষয়ে তিনি কখনো কথা বলেছেন বলে শুনিনি।”
যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত বিষয়ক আইন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কোনো কোনো রাজ্যে গর্ভপাতের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, আবার কোনো কোনো রাজ্যে নারীদের গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন করা হয়।
এই গ্রেফতার সেই বিতর্কেরই একটি অংশ। তথ্য সূত্র: সিএনএন