হারানো আংটি ফিরে পাওয়ার আনন্দ! টেক্সাসের এক নারীর ১০০ বছরের পুরনো বিয়ের আংটি খুঁজে পাওয়ার গল্প।
টেক্সাসের এক নারী, জ্যাকওলিন পেইজ, তার হারানো বিয়ের আংটি ফিরে পেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়লেন। পোসাম কিংডম লেকে ছেলের বেসবল দলের সাথে ঘুরতে গিয়ে তিনি তার প্রিয় বিয়ের আংটিটি হারিয়ে ফেলেন। ১৯১০ সালের, অর্থাৎ প্রায় ১১৫ বছর আগের পারিবারিক সূত্রে পাওয়া এই আংটিটি তার কাছে ছিলো অমূল্য।
লেকের পানিতে আংটি হারানোর পর সবাই মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। জ্যাকওলিন ছিলেন খুবই হতাশ। এরপর তারা ব্লু ডাইভার সার্চ অ্যান্ড রিকভারি নামক একটি ডুবুরি সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেন। রায়ান প্রিগমোর নামের এক ডুবুরি এসে আংটি খোঁজার চেষ্টা করেন, কিন্তু আবহাওয়ার কারণে সেদিন তিনি সফল হননি।
প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও, প্রিগমোর পরের দিন আবার ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরের দিন, যখন আবহাওয়া কিছুটা শান্ত ছিল, প্রিগমোর আবার ডুব দেন এবং অবশেষে সেই মূল্যবান আংটিটি খুঁজে বের করেন। জ্যাকওলিন পেইজ তার ফেসবুক পোস্টে এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডুবুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “আমি খুবই আনন্দিত! আমার মনে হচ্ছিলো, আমি হয়তো আর কোনোদিন আংটিটা ফিরে পাবো না।
আমার আংটিটা আমার কাছে এত স্পেশাল! এটা ফিরে পাওয়া আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।”
এই ঘটনা প্রমাণ করে, ভালোবাসার স্মৃতিচিহ্ন কতটা মূল্যবান হতে পারে। আমাদের সমাজে পারিবারিক ঐতিহ্য ও স্মৃতি বিজড়িত জিনিসপত্রের গুরুত্ব অনেক।
এই আংটি ফিরে পাওয়ার ঘটনা, সেই ভালোবাসার গভীরতাকেই যেন নতুন করে তুলে ধরে।
তথ্য সূত্র: পিপল