গোলাপী স্বপ্ন! গ্রীষ্মমন্ডলীয় ‘সাকুরা’ দেশে ভ্রমণের সেরা সময়?

থাইল্যান্ডে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিবেশে, এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অপেক্ষা করে থাকে, যা হয়তো অনেকেরই অজানা। দেশটির উত্তরে অবস্থিত পার্বত্য অঞ্চলে, জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে ফুটে ওঠে আকর্ষণীয় চেরি ফুল, যা একে “ট্রপিকসের সাকুরা” নামে পরিচিত করেছে।

জাপানে যেমন চেরি ফুলের মরসুম একটি বিশেষ আকর্ষণ, তেমনই থাইল্যান্ডও এখন ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে নতুন গন্তব্য হয়ে উঠছে।

সাধারণত, চেরি ফুল এক প্রকারের ফুলের গাছ, যা সাদা বা হালকা গোলাপী রঙের ফুল ফোটাতে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষের কাছে হয়তো অতটা পরিচিত নয়, তবে অনেকটা আমাদের দেশের পলাশ ফুলের মতো, যা বসন্তে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলে।

থাইল্যান্ডের এই চেরি ফুলের দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ, যা পর্যটকদের মন জয় করে।

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সুন্দর চেরি ফুলের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য, চিয়াং মাই প্রদেশের “ফু লোম লো” পার্কটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। Away Holidays এর সিনিয়র প্রোডাক্ট ডিরেক্টর জিয়ান্নে লিওনের মতে, “ভোরবেলার হালকা কুয়াশার মধ্যে যখন এই ফুলের বাগান দেখা যায়, তখন এক জাদুকরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়।”

এখানকার উঁচু ভূমি এবং সবুজ প্রকৃতির মাঝে গোলাপী ফুলের সমাহার এক অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করে।

“ফু লোম লো” পার্কটি “ডই ইন থানন” জাতীয় উদ্যানের অন্তর্ভুক্ত, যা থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এই পার্কটি প্রায় ৩৯৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৫৬৫ মিটার (৮,৪১৫ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত।

এখানকার কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ যেন ফুলের সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে।

শুধু “ফু লোম লো” নয়, চিয়াং মাই প্রদেশের “রয়্যাল এগ্রিকালচারাল স্টেশন অ্যাংখ্যাং”-এও এই সময়ে চেরি ফুল দেখা যায়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম “দ্য নেশন”-এর তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারীর শেষ দিকে এখানে ফুলের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।

এই গবেষণা কেন্দ্রটি মূলত শীতকালীন ফল ও ফুলের গাছ নিয়ে কাজ করে। এছাড়াও, এখানে “কোয়েন” নামে পরিচিত এক ধরনের অ্যাজালিয়া ফুলও শীতকালে ফুটে থাকে, যা দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয়।

যারা প্রকৃতিপ্রেমী এবং নতুন কিছু দেখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য থাইল্যান্ডের এই চেরি ফুলের দৃশ্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হতে পারে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *