শিরোনাম: অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার: দিদিমার ৩০ বছরের পুরনো ইস্টার ডিম, হাসির রোল পরিবারের অন্দরে।
ক্যাটারিনা গুল্লো নামের এক তরুণী, যিনি বর্তমানে কানেকটিকাটে বসবাস করেন, তাঁর দিদিমা সনি বেঞ্জকে সান দিয়েগো থেকে হাওয়াই দ্বীপে স্থানান্তরিত করতে সাহায্য করছিলেন।
এই সময়, পুরনো জিনিসপত্র গোছানোর সময় অপ্রত্যাশিতভাবে এমন এক ঘটনার সাক্ষী হন, যা হাসির জন্ম দিয়েছে পরিবারে।
মার্চ মাসের শুরুতে, মা’কে সাহায্য করতে ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেরেন ক্যাটারিনা।
দিদিমার জিনিসপত্র বাছাই করার সময়, তাঁর মা ইস্টার উৎসবের কিছু সাজসজ্জা বের করেন।
ক্যাটারিনার মনে হয়, উৎসব এখনো অনেক দেরি, তার আগেই এত আয়োজন কেন? মায়ের উত্তরে তিনি জানতে পারেন, ডিমগুলো আসলে দিদিমার সংগ্রহ করা কিছু পুরাতন সজ্জা।
ডিমগুলো দেখতে এতটাই বাস্তব ছিল যে, ক্যাটারিনার কৌতূহল জাগে।
তিনি সেগুলোকে হাতে নিয়ে পরখ করেন এবং ডিমের খোসার মতো অনুভব করেন।
এরপর, দিদিমার পুরনো ছবি দেখতে গিয়ে, তাঁরা একটি ছবিতে মা ও বাবার ছোটবেলার ছবি দেখতে পান, যেখানে তাঁরা দু’জনে মিলে ইস্টার ডিম রাঙাচ্ছেন।
ছবির সঙ্গে টেবিলের ওপর রাখা ডিমগুলোর হুবহু মিল দেখে ক্যাটারিনার সন্দেহ হয়।
ক্যাটারিনা একটি ডিম হাতে নিয়ে ঝাঁকাতে শুরু করেন।
কয়েকটি ডিম চুপ ছিল, কিন্তু একটি ডিমের মধ্যে শব্দ হওয়ায় তিনি সেটির রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেন।
ডিমটি ভাঙতেই তাঁর চোখ কপালে ওঠে! ভেতরের অংশটি পাথরের মতো শক্ত ছিল।
“আমি তো অবাক! মা, বাবা আর বোনকে ডাকলাম, ‘দেখো, কী খুঁজে পেয়েছি!’” – তিনি জানান।
এরপর, তাঁরা একে একে আরও কয়েকটি ডিম ভাঙেন।
প্রত্যেকটির ভেতর থেকে অপ্রত্যাশিত দৃশ্য বের হতে থাকে।
কোনোটির কুসুম শুকিয়ে গিয়েছিল, কোনোটা থেকে পচা গন্ধ আসছিল।
একটি ডিম ভাঙার পর বিকট শব্দ হয় এবং সবাই ভয়ে চিৎকার করে ওঠে।
দিদিমা হাসতে হাসতে বলেছিলেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, এত দিন ধরে ডিমগুলো রেখে দিয়েছি!”
এই ঘটনার একটি ভিডিও তৈরি করে টিকটকে পোস্ট করেন ক্যাটারিনা।
কয়েক দিনের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করেন।
কেউ ডিমগুলো ফেলে দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন, আবার কেউ ডিমগুলোর বয়স নিয়ে কৌতুক করেন।
ক্যাটারিনা জানান, তাঁর দিদিমার স্মৃতিশক্তি কিছুটা দুর্বল।
সম্ভবত, ডিমগুলো এত পুরনো নাও হতে পারে।
তাঁর মা ধারণা করেন, ডিমগুলো হয়তো ২০১৮ সালের, যখন সনি তাঁদের সঙ্গে থাকতেন, সেই সময়ের হবে।
ক্যাটারিনা বলেন, “দিদিমাকে গুছিয়ে সবকিছু করতে সাহায্য করার সময়, আমরা অনেক সুন্দর স্মৃতি আবার খুঁজে পেয়েছি।
দিদিমাকে পাশে পাওয়াটা আমাদের জন্য সত্যিই সৌভাগ্যের।
তাঁর সঙ্গে কাটানো এতগুলো বছর, একসঙ্গে হাসা, আর এই ডিমগুলোর ঘটনা – সবকিছুই যেন অমূল্য।”
সম্প্রতি, ক্যাটারিনা ও তাঁর স্বামী কিছু ডিম সেদ্ধ করেছেন।
তিনি ভাবছেন, সেগুলোকে একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য রেখে দেবেন, তবে দুর্গন্ধ হলে সেগুলোর স্থান যে ডাস্টবিনেই হবে, তা তিনি ভালো করেই জানেন।
তথ্য সূত্র: পিপল।