সিনেমা জগতে আলোড়ন! ‘দ্য ফ্রেন্ড’-এর তারকা কুকুর, মুগ্ধ দর্শক!

সিনেমার জগতে মাঝে মাঝে এমন কিছু চরিত্র আসে, যারা দর্শকদের মন জয় করে নেয় নিজেদের অভিনয় গুণে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দ্যা ফ্রেন্ড’-এর ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে।

তবে এখানে অভিনেতা-অভিনেত্রী নন, বরং পুরো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি বিশাল আকারের কুকুর—বিং।

‘দ্যা ফ্রেন্ড’ ছবিতে অভিনয় করেছেন নাওমি ওয়াটস এবং বিল মারে’র মতো জনপ্রিয় তারকারা। ছবিতে তাদের অভিনয় যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই দর্শকদের মন জয় করেছে বিং নামের একটি গ্রেট ডেন।

বিশাল আকারের এই কুকুরটির অভিনয় এতটাই প্রাণবন্ত যে, অনেকেই বলছেন, সিনেমার আসল তারকা তো সেই-ই।

সিনেমার গল্পে বিং, আইরিস নামের এক লেখকের প্রয়াত বন্ধুর আদরের পোষ্য।

বন্ধুর মৃত্যুর পর আইরিসের জীবনে আসে বিং, আর এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে এক গভীর সম্পর্ক।

ছবিতে তাদের একসঙ্গে পথচলার নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা দর্শকদের আবেগতাড়িত করে।

পরিচালক স্কট ম্যাকগিগি এবং ডেভিড সিগেল এই সিনেমার জন্য প্রথমে অন্য একটি কুকুরের কথা ভেবেছিলেন।

কিন্তু পরে তারা যখন সিগরিড নুনেজের লেখা ‘দ্যা ফ্রেন্ড’ উপন্যাসটি অবলম্বনে সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য বিং-এর ওপরেই ভরসা রাখেন।

আইওয়া অঙ্গরাজ্যের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিং-কে খুঁজে পাওয়া যায়।

সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি, বিং-কে নিয়ে হয়েছে নানা আলোচনা ও সাক্ষাৎকার।

এমনকি, ‘দ্যা টুনাইট শো’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানেও সে অংশ নিয়েছে।

সিনেমা প্রচারের সময়, অনেক দর্শকই বিং-কে কাছে পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন।

বিল মারে মজা করে বলেছিলেন, “আমি অনেক মানুষকে দেখেছি, যাদের আমি বিশ্বাস করি না।

কিন্তু কুকুরের ক্ষেত্রে, এমন মানুষ খুব কমই দেখেছি যাদের আমি বিশ্বাস করি না।”

কুকুরদের প্রতি মানুষের ভালোবাসার বিষয়টি এই ছবিতে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সিনেমা দেখানো হয়েছে, কিভাবে একটি কুকুরের সঙ্গ মানুষকে কঠিন সময়েও মানসিক শান্তি দিতে পারে।

সিনেমার পরিচালক জানিয়েছেন, তারা শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ছবিতে যেন কুকুরের কোনো ক্ষতি না হয়।

কারণ, এমন অনেক সিনেমাই আছে যেখানে পশুদের নিয়ে করুন পরিণতি দেখানো হয়, যা দর্শকদের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে।

‘দ্যা ফ্রেন্ড’ সিনেমাটি মানুষের জীবনে বন্ধুত্বের গুরুত্ব এবং শোকের সময়ে ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা কতখানি, সেই বার্তাই দেয়।

যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের জন্য এই সিনেমা এক ভিন্ন ধরনের সান্ত্বনা নিয়ে আসে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *